রাজা দাস, বালুরঘাট: ভোটের (Lok Sabha 2024) উত্তাপে ফুটছে বাংলা। দিকে দিকে চলছে জোর প্রচার। অথচ দক্ষিণ দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ৩২ কিলোমিটার এলাকায় ছুঁতেই পারেনি ভোটের হাওয়া। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ওই এলাকায় দেখা নেই কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। নেই ব্যানার, পোস্টার, দেওয়াল লিখন। তাই নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা কাউকে বলতে পারেন না স্থানীয় বাসিন্দা। ভোটের মুখে মুখভার ওই এলাকার ভোটারদের।
দক্ষিণ দিনাজপুরের ২৫২ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। এই সীমান্তের মধ্যে এখনও প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকায় নেই কোনও কাঁটাতারের বেড়া। কোথাও বাঁশের বাঁখারি, আবার কোথাও সম্পূর্ণ উন্মুক্ত সীমান্ত। হিলি থানার মধ্যে কাঁটাতারের ওপারে হাড়িপুকুর, উজাল, উচা গোবিন্দপুর, শ্রীকৃষ্ণপুর, তেলিয়া পাড়া-সহ মোট ১১ ভারতীয় গ্রাম রয়েছে। ১০ হাজারেরও বেশি ভোটার। আন্তর্জাতিক সীমারেখার কারণে নানা সমস্যা এলাকাগুলিতে। ভোটের আগে প্রতিবার ওই গ্রামগুলির ভোটাররা নতুন করে স্বপ্ন দেখেন হয়তো এবার সমস্যা দূর হবে। তবে তাঁদের আশা পূরণ হয় না। কবে যে সমস্যা সমাধান হবে, তা নিয়ে সন্ধিহান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর উদ্যোগ, হাই কোর্টের নির্দেশে খুলল ওয়েবসাইট]
আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন। সেদিনই বালুরঘাটে (Balurghat) ভোটাভুটি। হাতে মাত্র মাসখানেক সময়। প্রার্থীরা এদিক সেদিক প্রচারে ব্যস্ত। তবে কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডের এই গ্রামগুলিতে নেই ভোটের উত্তেজনা। প্রচারও তেমন নেই বললেই চলে। এখনও পর্যন্ত কোনও দলের প্রার্থীই কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় ভূখণ্ডের ১১টি গ্রামে পা রাখেননি। প্রার্থীরা অন্তত একবার আসলে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারতেন বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। কাঁটাতারের ওপারে থাকা বাসিন্দা রবিউল ইসলাম, নির্মল কুমার সিংহ জানান, “এখনও তাঁদের এলাকায় কোনও প্রার্থী প্রচারে আসেননি। নিচুতলার কর্মী-সমর্থকরা দু-একবার দেখা করে গিয়েছেন। প্রার্থী আসলে অন্তত সমস্যার কথা বলতে পারতাম।” বিদ্যুতের সমস্যা দূর হয়েছে এলাকায়। তবে একাধিক গ্রামে এখনও রাস্তা এবং জলের সমস্যা রয়েছে। নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে না পারায় হতাশ ভোটাররা।