সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সকাল থেকে গোটা দেশের নজর ভোটগণনার দিকে। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা গিয়েছে এনডিএ-কে দুরন্ত চ্যালেঞ্জ দিয়েছে ইন্ডিয়া। তবে সব থেকে বেশি চমকে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৮০ আসনের মধ্যে ৬২টি আসনই পেয়েছিল এনডিএ। কিন্তু এবারের অঙ্ক একেবারে বিপরীতে। দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে ৪৩ আসনে। এনডিএ সেখানে রয়েছে ৩৬-এ। অন্যান্য ১।
যদিও এটা প্রাথমিক ট্রেন্ড, তবু একথা বলাই যায়. সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত যা ছবি তাতে চমক সত্যিই বিরাট। শেষপর্যন্ত এই ট্রেন্ড বজায় থাকলে তা যে বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা হতে চলেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। কিন্তু কেন? ভোটব্যাঙ্কে এমন পরিবর্তনের পিছনে ফ্যাক্টর কী?
[আরও পড়ুন: মেলেনি কুলার, বার বার নেওয়া হচ্ছে ওজন! তিহাড়ে কেজরির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আপের]
মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে যে কটি ফ্যাক্টর রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম জাতিগত জনগণনা ইস্যু। রাহুল গান্ধী বার বার দাবি করেছেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে জাতিগত জনগণনা হবে। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ জোর দিয়েছেন 'পিডিএ'র উপরে। অর্থাৎ 'পিছড়া দলিত অল্পসংখ্যক'। এর আগে যাদব ও মুসলিমদেরই প্রার্থী করতেন অখিলেশ। কিন্তু এবার দলিতদেরও প্রার্থী করেছে তাঁর দল।
অন্যদিকে বিজেপি জোর দিয়েছিল বরাবরের মতোই, হিন্দুত্ব ইস্যুতে। কিন্তু অতি হিন্দুত্বে 'গাজর নষ্ট' হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সংরক্ষণ উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে, এই আশঙ্কাও কাজ করেছে দলিতদের মনে। ফলে মায়াবতীর দলের ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশই কিন্তু এবার ভোট দিয়েছে ইন্ডিয়া জোটতে, একথা হলফ করে বলাই যায়। পাশাপাশি একের পর এক পেপার লিক, বেকারত্বের মতো ফ্যাক্টর যোগী-মোদি ম্যাজিককে ফিকে করেছে। শেষপর্যন্ত হিসেব কী দাঁড়াবে তা সময় বলবে। কিন্তু কোনও সন্দেহ নেই, ফলাফল (2024 Lok Sabha Result) চমকপ্রদই হবে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রাহুল গান্ধী রায়বরেলি ও অখিলেশ যাদব কনৌজ কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে মোদি বারাণসী কেন্দ্রে প্রাথমিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছিলেন কংগ্রেসের আজয় রাইয়ের থেকে। তবে শেষপর্যন্ত তিনি অনেকটা ভোটেই এগিয়ে গিয়েছেন। জিতছেন রাজনাথ সিংও। অন্যদিকে আমেঠিতে পিছিয়ে রয়েছেন স্মৃতি ইরানি।