ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বড় চমক। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে মঞ্চে থাকছেন অখিলেশ যাদব। X হ্যান্ডেলে একথা জানান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সূত্রের খবর, রবিবারই কলকাতায় পৌঁছনোর কথা অখিলেশের। এদিকে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ একুশের সমাবেশ স্থল পরিদর্শনে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন X হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে একুশের সমাবেশে যোগ দিতে আসছেন অখিলেশ যাদব। সূত্রের খবর, রবিবারই হয়তো শহরে আসতে পারেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো।
[আরও পড়ুন: শাশুড়িকে ফোন করে বিপদ ডেকে আনে জামাল! কীভাবে জালে সোনারপুরের ‘ত্রাস’?]
উল্লেখ্য, অখিলেশ যাদবের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক রয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের হয়ে প্রচারে এসেছিলেন জয়া বচ্চন। সৌজন্যের সেই রীতি বজায় রেখে পরের বছর উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে অখিলেশের হয়ে প্রচারে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের 'সেনাপতি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই অখিলেশের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। যদিও এই বৈঠককে নিতান্তই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’বলে বর্ণনা করেন অভিষেক। বাংলায় গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করার পর দিল্লির রাজনীতিতে আরও গুরুত্ব বেড়েছে তৃণমূলের।
আবার বাংলার মতো উত্তরপ্রদেশে বিজেপির গতিকে স্তিমিত করেছেন অখিলেশ। যোগীর রাজ্যে এবার প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। ভাদোহি লোকসভা কেন্দ্রে সপার ছেড়ে দেওয়া আসনে দাঁড়িয়েছিলেন ললিতেশপতি ত্রিপাঠী। প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে তিনি সেখানে দ্বিতীয় স্থানে। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে একুশের মঞ্চে অখিলেশের উপস্থিতির খবর যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।