সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলাকার ছোট্ট মেয়েটাই পেলেন বিরাট দায়িত্ব। এবার সংসারের পাশাপাশি পঞ্চায়েতের গুরুদায়িত্বও তাঁর কাঁধে। মাত্র ২২ বছর পেরনো রাজশ্রী সাহা এখন সামলাচ্ছেন পঞ্চায়েতের দায়িত্ব। কারণ, নির্বাচনে জয়ের পর অশোকনগর ভুরকুণ্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান রাজশ্রী সাহা। বিরাট দায়িত্ব পেয়ে খুশি তিনি। পঞ্চায়েত তাঁর কাছে আরেকটি সংসার, দাবি রাজশ্রীর।
অশোকনগর পুরসভার বাসিন্দা রাজশ্রী সাহা। অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী। ভুরকুণ্ডা গ্রামের শাহজাহান মল্লিকের সঙ্গে ঘর বাঁধেন। দাম্পত্যের বয়স তিন বছর। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন। নতুন সংসারে পা রাখার পর আর তেমন সক্রিয় রাজনীতি করার সুযোগ পাননি রাজশ্রী। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে ফের সক্রিয় রাজনীতির আঙিনায় রাজশ্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৭ নম্বর বুথ থেকে বিনা প্রতিরদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন তিনি। কলেজ জীবন থেকে রাজনীতি করে আসা রাজশ্রীকে এবার প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হলেও, শেষ হাসি হেসেছেন রাজশ্রী।
[আরও পড়ুন: ২০ বছর বয়সেই পুলিশের খাতায় নাম, রানাঘাট ডাকাতিতে ধৃত কুন্দন বিহারে পুলিশকর্মী খুনেও যুক্ত?]
বাপের বাড়ির সদস্যরাও সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আর শ্বশুরবাড়ির সকলেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আর এবার সেই বাড়ির বধূ হলেন পঞ্চায়েত প্রধান। রাজশ্রী বলেন, “কলেজে টিএমসিপি করতাম। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল আমাকে টিকিট দেয়। ভোটে জেতার পর সমগ্র পঞ্চায়েতের উন্নয়নের দায়ভার আমার কাঁধে সঁপে দিয়েছে দল। দলের এই বিশ্বাস ও ভরসা আমি রাখব। সমস্ত সদস্যদের একসঙ্গে নিয়েই আমার উন্নয়নের কাজ চলবে। শ্বশুরবাড়ি আমাকে যথেষ্ট সাহস জোগাচ্ছে।” রাজশ্রীর সাফল্যে খুশি তাঁর স্বামীও।
অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “দল সর্বদা নতুনদের বেশি করে গুরুত্ব দেয়। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে একঝাঁক নতুনদের দল টিকিট দিয়েছিল। নতুনরা প্রত্যেকেই জিতেছেন। আর তাঁদের উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছে দল। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন তৃণমূলের যে কথা বলেন, এটা তারই উদাহরণ। কেননা, নতুনদের কাজ করার বাড়তি উৎসাহ থাকে। রাজশ্রীর ক্ষেত্রেও তা রয়েছে। দলীয়ভাবে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব।”