সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবার লাভ জেহাদের (Love jihad) ছায়া উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। ১৮ বছরের ছাত্রীকে অপহরণ করে জোর করে তাঁকে ধর্মান্তরিত করতে চাওয়ার অভিযোগ উঠল ২৫ বছরের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মীরাটের বাসিন্দা অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্তের নাম আমন। তার কাছে পড়তে আসতেন ওই তরুণী। কোচিং ক্লাসে ক্রমশই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় দু’জনের। অভিযোগ, এরপরই ছাত্রীকে তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় আমন। ধর্ম পালটে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। ছাত্রীটি রাজি না হলে আমন তাঁকে হুমকি দেয়, তার কথা না শুনলে সে তরুণীর ভাইকে মেরে ফেলবে। ভয় পেয়ে শেষ পর্যন্ত আমনের প্রস্তাবে রাজি হন তার ছাত্রী। এরপরই গত মঙ্গলবার দু’জনে পালিয়ে যায় দিল্লিতে। মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তাকে খুঁজতে শুরু করেন ওই ছাত্রীর বাবা-মা। কিন্তু কোনও হদিশ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে আমনেরই নাম ছিল।
[আরও পড়ুন: এখনও করোনা-বিপদ কাটেনি ৭৫ শতাংশ ভারতীয়র! টিকার দ্বিতীয় ডোজ ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে]
অবশেষে দিল্লি থেকে আটক করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার ছাত্রীকে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ”আমরা দু’জনকে মীরাটে ফিরিয়ে আনার পরে আমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬২ ধারায় অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এবার তার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইনের বিষয়টিও রাখা হয়েছে এফআইআরে।” তরুণী পুরো বিষয়টিই খুলে বলেছেন জেলাশাসকের কাছে। জানিয়েছেন, আমন তাঁকে জোর করে দিল্লির এক মসজিদে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিলেন।
দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসেবে ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইন চালু করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী (Yogi Adityanath) সরকার। রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী অর্ডিন্যান্সে সম্মতি দেওয়ার পর তা আইনে পরিণত হয়। এই আইনে অভিযুক্তের ৩ থেকে সর্বাধিক ১০ বছরের সাজা হতে পারে।