সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম নির্দেশিকা সত্ত্বেও কেন চাকরিতে যোগদান করতে পারছেন না? কেন বন্ধ বেতন? অবিলম্বে তাঁদের চাকরিতে যোগ দিতে দেওয়া হোক ও অবিলম্বে বেতন চালু করা হোক। এই আবেদন করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক।
নিয়োগ জটিলতায় জর্জরিত শিক্ষকদের গত ১৮ অক্টোবর স্বস্তি দিয়েছিল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ। তাঁদের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে চলা মামলায় তাঁদেরও পার্টি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বেঞ্চ জানিয়েছিল, এই শিক্ষকদেরও নিজেদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে আদালত জানিয়েছিল এই শিক্ষকদের প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল।
[আরও পড়ুন: Gujarat Assembly Poll: গুজরাট নির্বাচনের সূচি ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের, গণনা হিমাচলের সঙ্গেই]
এই অবস্থায় সোমবারই কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চলা মামলায় তাঁদের পার্টি করার আবেদন করে মধ্য শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি লেখেন শিক্ষকরা। সেখানে তাঁদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু চার বছরের বেশি চাকরি হয়ে গিয়েছে, তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের স্থায়ী শিক্ষক হয়ে যাওয়ার কথা।
ইতিমধ্যেই শিক্ষকদের আইনজীবীদের তরফে মামলায় তাঁদের পার্টি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে এদিন শিক্ষকরা দ্বারস্থ হন শীর্ষ আদালতের। তাঁদের আবেদন, দ্রুত মামলার শুনানি করে অচলাবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাঁরা যাতে অবিলম্বে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকতা শুরু করতে পারেন ও নিজেদের প্রাপ্য বেতন পান, সেই আবেদনই করা হয় এদিন।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকের ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেছিলেন। সেই রায় বহাল রাখে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ২৬৯ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের আবেদনের শুনানি ছিল আজ মঙ্গলবার। সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ বাতিলের কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে তাঁদের চাকরি ফেরাতে হবে।