সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেরুর (Peru) সোনার খনিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শনিবার খনির মধ্যে আগুন লেগে মৃত্যু হয় ২৭জন শ্রমিকের। ঘটনার সময়ে মাটি থেকে ১০০ মিটার গভীরে নেমে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটলেও রবিবার এই অগ্নিকাণ্ডের কথা প্রকাশ করে স্থানীয় প্রশাসন। সাম্প্রতিককালে এহেন মর্মান্তিক ঘটনা সেদেশে ঘটেনি বলেই জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আরেকুইপা এলাকায়। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই সোনার খনিতে শনিবার কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। ঘটনাস্থলের আশেপাশে থানা না থাকার কারণে উদ্ধারকাজ শুরু করতে দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে অন্তত ২৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: খলিস্তানের তুলনা টেনে বিতর্কে অজিত মাইতি, ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে জোরদার আন্দোলনে কুড়মিরা]
খনির মধ্যে আগুন লাগল কী করে? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, খনির মধ্যে শর্ট সার্কিট হয়েছিল। তার জেরেই খনির মধ্যে আগুন ধরে যায়। খনির মধ্যে কাঠের তৈরি সুড়ঙ্গ রয়েছে। কাঠের মাধ্যমেই আগুন আরও বেশি করে খনির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ঘটনার সময়ে কতজন শ্রমিক কাজ করছিলেন, সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
খনির মালিক সংস্থা ইয়ানাকুইহুয়ার তরফে বলা হয়েছে, এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে তারা। সেই সঙ্গে স্বজনহারাদের পরিবারকে সাহায্যও করতে চায় সংস্থাটি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে, মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের ঘটনাস্থলে যেতে দেয়নি সংস্থার কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ১০০ টনেরও বেশি সোনা উৎপাদন করে পেরু।