সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ মাসে ২৮ বার। ফের উচ্চাশার বলি এক পড়ুয়া। কোটায় NEET পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আত্মঘাতী হলেন বাংলার ছাত্র। সোমবার নিজের ঘর থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, আইআইটি থেকে শুরু করে মেডিক্যাল- সমস্ত প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজস্থানের কোটা (Kota) সারা ভারতেই বিখ্যাত। কিন্তু চলতি বছরে সেই সুনামকে ছাপিয়ে উঠে আসছে অন্য পরিসংখ্যান। মাত্র এক বছরেই কোটায় আত্মঘাতী হয়েছেন ২৮ জন পড়ুয়া। প্রত্যেকেই নানা পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম ফরিদ হুসেন। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ২০ বছর বয়সি ফরিদ গত বছর থেকেই কোটায় NEET প্রবেশিকার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন তিনি। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ শেষবার ফরিদকে দেখতে পান বন্ধুরা। তার পর থেকেই তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। সাড়া না পেয়ে বাড়িওয়ালাকে খবর দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে ঘর থেকে ফরিদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
[আরও পড়ুন: গাজায় বাড়ল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ, হামাসের কবল থেকে মুক্তি পাবেন আরও পণবন্দিরা]
পড়াশোনার চাপে এত পড়ুয়ার মৃত্যু হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে কোটার কোচিং সেন্টারগুলোর দিকে। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এইভাবে পর পর পড়ুয়াদের আত্মহত্যার জন্য কোচিং সেন্টারগুলিকে দায়ী করা যায় না। এর দায় প্রয়াত পড়ুয়াদের অভিভাবকদেরই। তাঁদের দেওয়া চাপেই ঘটছে এমন অনর্থ।