সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গাজার একটি স্কুলে ভয়ংকর আঘাত হানল ইজরায়েল! শনিবার ইজরায়েলি ফৌজের ‘অগ্নিবর্ষণে’ সেখানে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৯ জনের। ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্যালেস্তিনীয় সেনার হামলায় ঘরছাড়া মানুষেরা। এই নিয়ে পর পর চারদিন এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটল। হামাস এই হামলার পিছনে ইজরায়েলকে দায়ী করছে। ইজরায়েলের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে তেল আভিভের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সেনা ওই অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। বাকি তিন হামলার কথাও স্বীকার করেছে ইজরায়েল।
এক প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে মঙ্গলবাসরীয় হামলার বিষয়ে জানাতে গিয়ে বলেছেন, ''আমরা স্কুলের প্রবেশদ্বারের একেবারে সামনে বসেছিলাম। হঠাৎই কোনও হুঁশিয়ারি ছাড়াই আচমকা আছড়ে পড়ল রকেট।'' ইজরায়েলের তরফে পরে বলা হয়েছে, স্কুলটির কাছেই একটি হামাস ঘাঁটিতে হামলা চালানোই উদ্দেশ্য ছিল। পুরো বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে বলে জানাচ্ছে তেল আভিভ।
[আরও পড়ুন: গোলে ফিরলেন মেসি, নীল-সাদা ঝড়ে উড়ে গেল কানাডা, কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা]
গত ১০ মাস ধরে হামাস নিধনে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েল। অভিযান শুরু করার পর থেকে ইহুদি দেশটির সেনার অভিযোগ ছিল, গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল, স্কুল, ধর্মীয়স্থানে লুকিয়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিরা। সেখান থেকেই তাঁরা নানা সন্ত্রাসী কাজকর্ম করছে, সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে। ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে এই অভিযোগের সাপেক্ষে যুক্তিও দিয়েছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
বলা রাখা ভালো, গোটা গাজা ভূখণ্ড জুড়ে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিদের সুড়ঙ্গ। গত ১০ মাস ধরে যুদ্ধে মাটির নিচের সেই ডেরাগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। এবার ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ হামাসের টানেল ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সুড়ঙ্গে খতম করা হয়েছে শতাধিক হামাস জঙ্গিকে।