সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ সিবিআই। 2G মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা ও ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি।
বৃহস্পতিবার, দেশের অন্যতম বৃহত্তম কেলেঙ্কারি মামলায় রায় দেয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালত। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে দুই অভিযুক্তকেই নির্দোষ বলে রায় দেন বিচারপতি ওপি সাইনি। প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার এই কেলেঙ্কারি ইউপিএ আমলে দেশ জুড়ে প্রবল শোরগোল ফেলে দেয়। দুর্নীতিতে নাম জড়ায় একের পর এক রাজনীতির রাঘব বোয়ালদের। তবে এদিনের রায়ে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি।
তৎকালীন মনমোহন সিং সরকারের আমলে ঘটা এই দুর্নীতি নিয়ে ২০১১ সালে মামলা শুরু হয়। রাজা ও কানিমোঝি-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করে সিবিআই। এদিন আদালত তিনটে মামলায় ১৬ অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করে। আদালত সাফ জানিয়ে দেয় 2G স্পেকট্রাম বণ্টনে কোনও দুর্নীতি হয়নি। এদিন আদালতের রায়দানের পর প্রতিক্রিয়া দেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিকদের জানান, আদালতের রায়কে স্বাগত। একইসঙ্গে তিনি যে ভিত্তিহীন অভিযোগে ইউপিএ সরকারকে কালিমালিপ্ত করা হয়েছিল সেই অভিযোগকে নস্যাৎ করার জন্য নিজের খুশি ব্যক্ত করেন মনমোহন।
#WATCH: Former Telecom Minister A Raja after being acquitted in the #2GScam pic.twitter.com/hmu8oWOZeD
— ANI (@ANI) December 21, 2017
রায় দানের সময় আদালতে হাজির ছিলেন রাজা, কানিমোঝি-সহ সব অভিযুক্তরাই। বেকসুর খালাস পাওয়ার পর কান্নায় ভেঙ্গে পরেন করুণানিধির কন্যা। এদিন বেকসুর খালাস পেয়েছেন মোট ১৬ জন। এসার গ্রুপের শীর্ষ কর্তা রবিকান্ত রুইয়া, অংশুমান রুইয়া। রেহাই পেয়েছেন লুপ টেলিকমের কর্তা কিরণ খৈতান ও তাঁর স্বামী আইপি খৈতান। ২০১১ সালে দাখিল করা অভিযোগপত্রে সিবিআই জানায় নিয়মবহির্ভূতভাবে ১২২ স্পেকট্রাম বণ্টন করে ১২২টি লাইসেন্স প্রদান করা হয়। ফলে প্রায় ৩০ হাজার ৯০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়।
রায়দানের পর শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
[বিতর্কের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীকে বিয়ের আমন্ত্রণ বিরুষ্কার]
The post অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ সিবিআই, 2G কেলেঙ্কারিতে রেহাই রাজা-কানিমোঝির appeared first on Sangbad Pratidin.