সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তারক্ষীরা নন, সংসদে হানাদারদের ধরলেন সাংসদরাই। রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে এই কাজ করেন তাঁরা। চার অজ্ঞাতপরিচয় সভার মাঝে আচমকা ঢুকে পড়ে। তাঁদের কাছে গ্যাস ছোড়ার সরঞ্জাম ছিল বলে অভিযোগ। মুখে ছিল, ‘জয় ভীম’ স্লোগান। যখন এমন ঘটনায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সংসদ কক্ষে, তখনই সাহস করে হানদার ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়েন কতিপয় সাংসদ। কারা তাঁরা?
বুধবার, শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় ছড়ায় আতঙ্ক। তার পরই ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যদিও তৎপরতা দেখান বহুজন সমাজ পার্টির (BSP) সাংসদ মালুক নাগর, রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির (RLP) সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, এছাড়াও প্রতিবাদী হানাদারদের পাকড়াও করেন কংগ্রেস সাংসদ গুরজিৎ সিং আউজলা। এই সাংসদরাই চার অভিযুক্তকে নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে তুলে দেন বলে খবর। সব মিলিয়ে সংসদ হামলার ২২ বছরে হামলাকারীদের ধরে ‘নায়ক’ সাংসদরাই। এই বিষয়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ গুরজিৎ বলেন, “ওঁর (হামলাকারী) হাতে কিছু একটা ছিল, যা থেকে হলুদ রংয়ের ধোয়া বের হচ্ছিল। আমি সেটা কেড়ে নিই এবং বাইরে ছুড়ে ফেলি। এই ঘটনা নিরাপত্তায় বড়সড় গাফিলতি।”
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে খারিজ দ্রুত শুনানির আর্জি, প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ মহুয়া]
গোটা ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। এদিকে, এই ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্নও। জানা গিয়েছে, দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অতিথি। কীভাবে বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার পাস হাতে পায় হামলাকারীরা? কড়া নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে কীভাবে গ্যাস বম্ব নিয়ে ভেতরে পৌঁছয় অভিযুক্তরা?
[আরও পড়ুন: সংসদে হামলাকারীরা বিজেপি সাংসদের অতিথি! মুখে ‘জয় ভীম’ স্লোগান]
এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তিনি বলেন, “দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে আমদের চিন্তা ছিল ওই ধোঁয়া নিয়ে। তা কী ছিল বা কেমন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই ধোঁয়ায় বিশেষ কোনও কিছু ছিল না। তা প্রতিবাদ করার জন্যই ব্যবহার হয়েছিল। ফলে আতঙ্কের কারণ নেই।”