সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোর রাতে শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী ও দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দুষ্কৃতীদের। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ। খুনের নেপথ্য রাজনীতি নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
কোচবিহারের শীতকুচির হাসপাতাল পাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মণ। তাঁর স্বামী বিমল বর্মন এসসি-এসটি সেলের ব্লক সভাপতি। দুই মেয়েকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন দম্পতি। শুক্রবার ভোর রাতে তাঁর বাড়ি থেকে আর্তনাদ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে রয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙা হাসপাতালে। সেখানেই পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসা শুরুর পর মৃত্যু হয় এক মেয়ের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে একজন। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: সন্তোষপুর স্টেশনে বিধ্বংসী আগুন, শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল]
কিন্তু কী কারণে এই নৃশংসতা? রাজনৈতিক শত্রুতা নাকি ব্যক্তিগত অশান্তির বলি হতে হয় দম্পতিকে? স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মেয়ের প্রেমে বাধা দিয়েছিলেন ওই দম্পতি। তা নিয়ে অশান্তি চলছিল। সেই কারণেই এই হাড়হিম হত্যালীলা।