সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গুলির লড়াইয়ে কাঁপল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)। এবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ হয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার তিন জেহাদি।
[আরও পড়ুন: অনেকটা কমল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, দীর্ঘদিন বাদে নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসও]
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কেন্দ্রশাসিত প্রদেশটির অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সন্ত্রাসবাদীদের। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষকর্তা বিজয় কুমারকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। সূত্রের খবর, গোপন খবরের ভিত্তিতে এদিন সকাল থেকেই ওই এলাকা ঘিরে ফেলে অভিযান চালাচ্ছিল সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী ও কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথ দল। নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতি জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চলার পর নিহত হয় তিন সন্ত্রাসবাদী। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উপত্যকায় বড়সড় নাশকতার ছক ছিল নিহত জঙ্গিদের বলে মনে করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ কাশ্মীরে নিকেশ হয়েছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর তিন জঙ্গি। উপত্যকায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনটি। দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জেহাদিদের। তার আগে কাশ্মীরে নিকেশ হয় কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর প্রধান গানি খোয়াজা। কাশ্মীরের হানদ্বারার বাসিন্দা ছিল সে। ২০০০ সালে পাকিস্তানে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল খোয়াজা। তারপর কয়েক বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০১৮ সালে ফের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দেয় সে। শুরুর দিকে হিজবুল মুজাহিদিনে থাকলেও সেখান থেকে লস্কর-ই-তইবায় চলে আসে। তারপর আল বদর সংগঠনে যোগ দেয় খোয়াজা। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল আল বদর জঙ্গি সংগঠনের তরফে৷ সেখান থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সংগঠন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়।