shono
Advertisement

বেহাল নিকাশির জেরে ফি বছর ৬ মাস ধরে ‘জলবন্দি’, জলযন্ত্রণায় জেরবার মন্দিরতলার বাসিন্দারা

ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা।
Posted: 04:46 PM Sep 15, 2023Updated: 04:46 PM Sep 15, 2023

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: জলনিকাশি ব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই। যার জেরে প্রতিবছর নিয়ম করে অন্তত ৬ মাস জলবন্দি থাকে মন্দিরবাজারের ৩টি গ্রাম। প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও লাভ হয়নি। ফলে সাপ, ব্যাঙ, বিষাক্ত পোকামাকড়ের সঙ্গেই বাস করছেন স্থানীয়রা। প্রবল ভোগান্তির শিকার সকলে।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার ব্লকের লক্ষীকান্তপুর, নলপুকুর ও পোলেরহাট-এই তিনটি গ্রামের প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ পরিবার বছরের ৬ মাস থাকেন জলবন্দি হয়ে। অভিযোগ, দীর্ঘ সময় জল জমে থাকে গোটা গ্রামে। ঘরের ভিতরেও জল। ফলে কেউ অন্যত্র আশ্রয় পেলে সেখানে চলে যান। বাকিদের জীবন কাটে জলেই। এক হাঁটু জল পেরিয়েই তাঁদের যেতে হয় স্কুল-কলেজ-বাজার-অফির, সবর্ত্র। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়াও কার্যত অসম্ভব। খাওয়ার জল নিতে হয় নোংরা দূষিত জলে ডুবে থাকা কল থেকেই। জমা জলে মশার উপদ্রব বাড়ছে। বাড়ি বাড়ি জ্বরের প্রকোপ, চর্মরোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে।

[আরও পড়ুন: জলপ্রকল্পে দুর্নীতি! খবর পেয়েই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের ধমক বিধায়কের, টাকা ফেরতের নির্দেশ]

জলযন্ত্রণা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। দু’দিন কাটতে না কাটতেই ফের সকলেই চুপচাপ। শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকা রেলের অধীন। তারা কাজ করতে গেলে রেল দপ্তরের কাছে হেনস্থা হতে হয়। রেলের আধিকারিকরা তাঁদের মেশিন বাজেয়াপ্ত করে ৯ জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। তার পরও খাল কাটা হয়েছে, তৈরি করা হয়েছে কালভার্ট। রেল অনুমতি দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এমপি, এমএলএ, পঞ্চায়েত সমিতি, প্রধান, সদস্য সকলেই শাসকদলের। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তৃণমূল মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিতে বিজেপিকে দোষারোপ করে চলেছে।

 

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর কর্মসূচির নাম করে তোলাবাজি! ব্যবসায়ীকে ‘মারধরে’র প্রতিবাদে সরব TMC]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement