সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে ‘রাখে হরি মারে কে’! তুরস্কের (Turkey) ভয়াবহ ভূমিকম্পের (Earthquake) তিনদিন পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হল এক তিনবছরের একরত্তিকে। তার ভাইবোনদের উদ্ধার করা হয়েছিল শনিবারই। তারই খোঁজ ছিল না। অবশেষে সোমবার তাকে বের করা সম্ভব হয় ভেঙে পড়া বাড়ির ভিতর থেকে। সেখানে আটকে পড়েছিল সে।
তিনদিন আগে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক এবং গ্রিসের একাংশ। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৭.০। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৯৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই মৃত্যুমিছিলের ভিতরেও ছোট্ট মেয়ে এলিফকে প্রাণে বাঁচাতে পেরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তুরস্কের দুর্যোগ ও আপৎকালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তথা AFAD-র প্রধান মেহমেত গুল্লুওগলু। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘‘ঈশ্বর তোমাকে সহস্র ধন্যবাদ। আমাদের ছোট্ট এলিফকে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের ভিতর থেকে উদ্ধার করতে পেরেছি আমরা।’’
[আরও পড়ুন: অশান্তির আশঙ্কার মধ্যেই আমেরিকায় চলছে ভোটগ্রহণ, এগিয়ে বিডেন]
উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে খুঁজে চলেছেন আটকদের। এই পরিস্থিতিতে সোমবার তাঁরা সন্ধান পান এলিফের। দ্রুত ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে তাকে উদ্ধার করে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এলিফের তিন ভাইবোনকে শনিবার তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া গেলেও পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তুরস্কের ইজমির প্রদেশেই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল সর্বাধিক। গত এক দশকে এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখা যায়নি এখানে। ৯৯৪ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। এখনও একটি ব্লকের ভিতরে প্রায় কুড়ি জন আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। জোরকদমে তাঁদের উদ্ধার করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথম, নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রী হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রিয়াঙ্কা রাধাকৃষ্ণন]
জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল সামোস নামে গ্রিসের একটি দ্বীপ থেকে ১৩ কিলোমিটার উত্তরপূর্ব দিকের একটি জায়গা। তবে ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের পশ্চিমাংশের এই ইজমির প্রদেশ। ভূমিকম্পের তীব্রতায় ভেঙে পড়েছে অন্তত ২০টি বড় বড় বিল্ডিং। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ভূমিকম্পের সময়ের একাধিক ভিডিও। কাঁপতে কাঁপতে হুড়মুড়িয়ে বাড়িগুলির ভেঙে পড়া দেখে শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা।