সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোরগোড়ায় করোনার তৃতীয় ঢেউ। তারই মধ্যে ফের দেশের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নতুন করে বাড়াল উদ্বেগ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের হার একলাফে বৃদ্ধি পেল প্রায় ৫০ শতাংশ। আর সেই সঙ্গে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা। এবার ‘এন্ডেমিক’ স্টেজে পা রাখতে চলেছে ভারত।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭ হাজার ৫৯৩ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় ৪৭.৬ শতাংশ বেশি। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ১২ হাজার ৩৬৬। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ৬৪৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা বলি ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৫৮ জন।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশে ফেরা ১৬ আফগান শরণার্থী করোনা আক্রান্ত, সংস্পর্শে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও]
২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ল অ্যাকটিভ কেসও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৩২৭ জন। ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩২৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ১৬৯ জন।
টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। দেশে এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ৫৯ কোটি ৫৫ হাজারেরও বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৬১ লক্ষের বেশি। তবে রোগী চিহ্নিত করতে অব্যাহত টেস্টিং প্রক্রিয়াও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৭ লক্ষ ৯২ হাজার ৭৫৫ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যেই ভারতকে নতুন করে সতর্কবার্তা দিল WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ডা. সৌম্য স্বামীনাথন জানান, এন্ডেমিক স্টেজে প্রবেশ করতে পারে ভারত। কী এর অর্থ? তাঁর কথায়, এ দেশের বাসিন্দারা ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে শিখবে। যেখানে স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ ছড়াতেই থাকবে। এই পরিস্থিতি অতিমারীর থেকে অন্যরকম। ভারতের আয়তন এবং জনসংখ্যার কারণেই এই অধ্যায় শুরু হবে বলে মনে করছেন ওই বিশেষজ্ঞ। অর্থাৎ ভাইরাস যে আপাতত ভারতীয়দের জীবন থেকে বিদায় নিচ্ছে না, সে ইঙ্গিতই স্পষ্ট।