সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে গ্যাস হামলার চার অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হল ৭ দিনের জন্য। জানা গিয়েছে, সংসদের ভিতরে গ্রেপ্তার হওয়া সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন এবং সংসদের বাইরে গ্রেপ্তার হওয়া নীলম দেবী ও অমল শিণ্ডেকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গতকালের ঘটনায় সব মিলিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের (Parliament Security Breach) ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। বুধবার টিভির পর্দায় দৃশ্যটি দেশে শিউরে ওঠে দেশবাসী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংসদরাও হতভম্ব হয়ে যান। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সংসদের ভিতরে ঢুকেছিলেন মাইসুরুর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সাগর শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মাইসুরুরই আর এক বাসিন্দা মনোরঞ্জন ডি। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের মধ্যে একজন হরিয়ানার বাসিন্দা নীলম সিং। অপরজন মহারাষ্ট্রের অমল শিণ্ডে। ধৃতদের জেরার পাশাপাশি তাঁদের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সকলের বিরুদ্ধেই কড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীর পর মথুরা, শাহী ইদগাহ মসজিদে সার্ভের আর্জিতে সায় হাই কোর্টের]
বুধবার নতুন সংসদ ভবনে লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন আচমকাই লাফিয়ে পড়ে প্রতিবাদ শুরু করেন সাগর ও মনোরঞ্জন। ২০০১ সালে সংসদে হামলার বর্ষপূর্তির দিনই এমন ঘটনায় রাতারাতি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও দ্রুতই অভিযুক্তদের আটক করেন মার্শালরা। এদিকে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৮ জন নিরাপত্তা আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংসদ ভবনে ঢোকার পথেই দায়িত্বে ছিলেন ওই ৮ জন। সংসদে হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরুর আগেই শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন তিনি। জানা যাচ্ছে, তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং আরও তিন হেভিওয়েট নেতা।