সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষবার বেতন বেড়েছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে। ২০২৪-২৫ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে নতুন করে বেতনবৃদ্ধির কথা ছিল। কিন্তু ইনফোসিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেতন এখনই বাড়ছে না। এই মুহূর্তে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তার ফলেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাক্তন ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তি বারংবার সাপ্তাহিক ৭০ ঘণ্টা কাজের নিদান দিচ্ছেন তরুণদের। কিন্তু তাঁরই সংস্থায় একবছরেরও বেশি সময়ে বেতন না বাড়ায় কর্মীদের অস্বস্তি যে বাড়ছে তা নিশ্চিত।
তবে ইনফোসিস একাই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বহু শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাই ইনক্রিমেন্টের পথে না এগনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাদের মধ্যে এইচসিএলটেক, এলটিআইমাইন্ডট্রি, লার্সেন অ্যান্ড টুব্রোর মতো সংস্থাও রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো কিছু ক্ষেত্র ছাড়া সবেতেই একটা অনিশ্চয়তার ছায়া রয়েছে। বলা হচ্ছে, বহু কর্মীর পক্ষে চাকরি বাঁচিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বেতন না বাড়লেও নিজের চাকরিটি অক্ষুণ্ণ রাখতে পেরেই যেন তাঁরা কিছুটা স্বস্তিতে। এহেন পরিস্থিতিতে ইনফোসিসও সতর্ক ভাবে পা ফেলতে চাইছে। তাই 'কস্ট ম্যানেজমেন্ট'-এর দিকে এই মুহূর্তে তাদের প্রধান ফোকাস।
প্রসঙ্গত, ইনফোসিসের প্রাক্তন কর্তা নারায়ণমূর্তি নিদান দিয়েছিলেন, সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে তরুণদের। বিতর্ক বাড়লেও নিজের বক্তব্যে অনড় ছিলেন তিনি। গত নভেম্বরে সিএনবিসি গ্লোবাল লিডারশিপ সামিটে ৭৮ বছরের নারায়ণমূর্তি বলেন, ”এই কথাটা আমি আমার কবর পর্যন্ত নিয়ে যাব।” ১৯৮৬ সালে ভারতে সাপ্তাহিক ৬ দিন কাজের নিয়ম বদলে ৫ দিন করা হয়। এই প্রসঙ্গ তুলে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই পরিবর্তন কোনওদিনই মানতে পারেননি তিনি। ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ”আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আজও আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি।” সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, জাতীয় উন্নতির জন্যই সবাইকে বেশি করে কাজ করতে হবে। এবার তাঁরই সংস্থা জানিয়ে দিল, নির্ধারিত বেতনবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরতে হচ্ছে তাদের। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হবে কিনা সেদিকে লক্ষ রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।