shono
Advertisement

Breaking News

বাঘমুণ্ডিতে চন্দন গাছ চুরির কিনারা, হাওড়া থেকে মাস্টারমাইন্ড-সহ গ্রেপ্তার ৪

ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ২ কুইন্টাল চন্দন কাঠ উদ্ধার হয়েছে।
Posted: 07:53 PM Dec 07, 2022Updated: 07:53 PM Dec 07, 2022

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: চন্দন গাছ চোরাই চক্রে সাফল্য পেল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। মাসদুয়েক আগে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে চন্দন গাছ চুরির কিনারা। বাংলা-সহ উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানায় চন্দন গাছ চুরির অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এই গাছ চোরাই চক্রের চার সদস্যের একটি দলকে সোমবার হাওড়ার সালকিয়া স্কুল রোড থেকে গ্রেপ্তার করে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় দু’কুইন্টাল চন্দন কাঠ উদ্ধার হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই চক্রটি বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যে চন্দন গাছ চুরির সঙ্গে যুক্ত। এই চক্রটি নেপাল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আরও যারা যারা রয়েছে তাদের খোঁজ চলছে।”

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সমীর নস্কর, সন্তোষ কুমার শা, গণেশ বারিক, অখিল বারিক। ধৃত সমীরের বাড়ি হাওড়ার গোলাবাড়িতে। সন্তোষ, গণেশ ও অখিলের বাড়ি ওড়িশার খুরদা জেলার বেগুনিয়া গ্রামে। তবে তারা বর্তমানে হাওড়ায় থাকত। ধৃতদেরকে মঙ্গলবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। চলতি বছরের ১২ অক্টোবর রাতে বাঘমুণ্ডি থানা এলাকার তিন জায়গায় চন্দন গাছ চুরি হয় বলে অভিযোগ।

পুরুলিয়া বন বিভাগের বাঘমুণ্ডি বনাঞ্চলের বুড়দা বিট কার্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে একটি, বাঘমুণ্ডি বনাঞ্চল কার্যালয় আশ্রম বাগান থেকে দু’টি ও সরাগডি গ্রামে এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে একটি চন্দন গাছ চুরি হয় বলে অভিযোগ। এক রাতে চারটি চন্দন গাছ কেটে নিয়ে যাওয়াই বনদপ্তর চাপে পড়ে গিয়েছিল। তেমনই খানিকটা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশ। এই ঘটনায় পুরুলিয়া বনবিভাগের বাঘমুণ্ডি বনাঞ্চলের বুড়দা বিটের অফিসার এফআইআর করে। তারপরেই বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ এই ঘটনার কিনারায় তদন্ত শুরু করে।

[আরও পড়ুন: ‘আমাকে মেরে ফেলো, স্ত্রী-ছেলেকে জড়িও না’, কাঁদো কাঁদো গলায় আরজি মানিকের]

পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার পরেই বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ এই চোরাই চক্রে যারা যুক্ত রয়েছে তাদের একটি তালিকা করে। সেই তালিকা অনুযায়ী তাদের মোবাইল নম্বর খুঁজে তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশের এসওজি সেল। এদিকে ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে আসে। সবে মিলিয়ে পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনায় হাওড়া এলাকার কেউ যুক্ত রয়েছে। তারপরেই পুলিশের কাছে তথ্য আসে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের অধীন গোলাবাড়ি এলাকার সমীর নস্কর এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড।

দীর্ঘদিন ধরেই চন্দন গাছ চোরাই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সে। এর আগে মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানাতেও এই কাজ করেছে। ৫৯ বছর বয়সি চোরাই চক্রের এই পান্ডার কলকাতার বড়বাজার এলাকাতেও ঘাঁটি রয়েছে। বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশের একটি দল সোমবার হাওড়ার সালকিয়া স্কুল রোডের একটি গোডাউন থেকে এই চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদেরকে প্রথমে হাওড়া কোর্টে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে এসে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়। এই ধৃতরা বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকাতেও চন্দন গাছ চুরির সঙ্গে যুক্ত ছিল।

[আরও পড়ুন: শুরু ফর্ম বিলি, কুণালের নজরে আসা দুই গ্রামে জোরকদমে চলছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement