সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুরের একই পরিবারের চার সদস্যের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। তাঁদের মৃত্যুর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের দাবি করে কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দৃষ্টি আর্কষণ করেন এক আইনজীবী। তাঁকে হলফনামা জমা করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তারপরই মামলা শুনবেন তিনি।
কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী সামিম আহমেদের দাবি, দুর্গাপুরের মিলনপল্লিতে একই পরিবারের চার সদস্যের রহস্যমৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। যোগ থাকতে পারে নিয়োগ দুর্নীতিরও। মৃত অমিত মণ্ডলের হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। এমনকী, আত্মীয়দের অবৈধ চাকরির বিষয়টি জেনে যাওয়ায় সপরিবারে অমিতকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যই। এবার সেই বিষয় খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন আইনজীবী সামিম আহমেদ।
[আরও পড়ুন: গ্রুপ ডি শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টে, আটকে ১৯১১ চাকরি]
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে দুর্গাপুরের কুরুড়িয়া ডাঙার মিলন পল্লিতে একই পরিবারের চার সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়। দেখা যায়, পরিবারের কর্তা অমিত মণ্ডলের দুই হাত দেহের সঙ্গে গামছা দিয়ে বাঁধা। আর এই অমিতের হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ, ফেসবুক পোস্ট ঘিরেই রহস্য় বেড়েছে। পাশাপাশি অমিতের শ্যালিকা সুদীপ্তা ঘোষের অভিযোগ, “এই ঘটনার পিছনে মদত রয়েছে অমিত ওরফে বুবাইয়ের মা বুলারানী মণ্ডল ও মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টুর। দাদা জানতে পেরে যায় যে মামার বাড়ির পরিবারের বেশ কিছুজন ২০১২ সালে টেট পাস না করেও চাকরি পেয়েছিল। এমনই কথা দাদা আমাকে হোয়াটস অ্যাপ মারফত লিখে জানায়। তারপরই এদিন ভোরে এই ঘটনা।” অমিত নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সিবিআই ও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন বলেই জানিয়েছিলেন তাঁর শ্যালিকা। এবার সপরিবারে অমিতের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী।