স্টাফ রিপোর্টার: ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের (Tripura BJP Govt.) বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন শাসকদলেরই ৪ বিধায়ক। বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মনের নেতৃত্বে আশিস সাহা, দিবাচন্দ্র রাংখল, বুর্বমোহন ত্রিপুরার মতো বিধায়করা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সরকারের বিরুদ্ধে বৈঠক করছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। সূত্রের খবর, তাঁরা দল ছাড়ারও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। আর সেটা হলে ত্রিপুরায় সরকার টিকিয়ে রাখতে শরিক দলের উপর নির্ভর করতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। যা ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটের আগে চাপে রাখবে তাদেরই।
বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার সব দিক দিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। আগেই তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি আর বিজেপি প্রতীকে ভোটে দাঁড়াবেন না। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলেও তার অভিযোগ। রাজ্যে নতুন করে অক্সিজেন প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের প্রকাশ্যে সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, রাজ্যে কোনও উন্নয়নই হয়নি।
[আরও পড়ুন: দেউচা-পাচামিতে জমি দিলেই চাকরি, তৈরি ৫ হাজারের বেশি পদ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশির হাওয়া]
উল্লেখ্য, বিক্ষুব্ধ এই ৪ বিধায়কই বিজেপি ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তাঁদের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির আদি গোষ্ঠীর একাধিক নেতা যোগাযোগ রাখছেন বলে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপের দাবি। এই চার বিজেপি বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে সরকারকে নির্ভর করতে হবে শরিক আইপিএফটির উপর। ইতিমধ্যে বিজেপির আরও এক বিধায়ক আশিস দাসের বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে।
এদিকে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গত কয়েকদিনে দফায় দফায় বৈঠক করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। সোমবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে পৌরোহিত্য করেছেন আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক। সিপিএমের প্রাক্তন এক কাউন্সিলর যমুনা বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।