সুকুমার সরকার, ঢাকা: কক্সবাজার (Coxbazar) -এর উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ দফায় দফায় সংঘর্ষে মহম্মদ ইয়াছিন (২৪) নামের আরও এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। ইয়াছিন কুতুপালং ডি-৪, ২ ওয়েষ্ট ক্যাম্পের মহম্মদ নাসিমের ছেলে। এর ফলে গত পাঁচদিনে ওই ক্যাম্প মহিলা-সহ চার জন খুন হল।
এপ্রসঙ্গে হেড মাঝি মহম্মদ ওসমান বলেন, রবিবার রাত থেকে আনাস ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২ নম্বর ওয়েস্ট ডি-ব্লকে প্রায় ৫০০ জন রোহিঙ্গা ( rohingya) দুষ্কৃতী দা ও লাঠি নিয়ে ক্যাম্পের শতাধিক ঝুপড়ি ঘর ও ৫০টি দোকান ভাঙচুর করেছে। কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, আনাস গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের লড়াইয়ের জেরে প্রাণ বাঁচানোর জন্য কয়েক’শো রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কুতুপালং ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: লজ্জা! মাত্র এক মাসে বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার ১২৯ শিশুকন্যা ]
মায়ানমারে হওয়া সেনা অভিযানের জেরে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু, এখানেও তাদের দস্যুগিরির জেরে অতিষ্ট খোদ আশ্রয়দাতা বাংলাদেশিরাই। নারী পাচার, মাদক কারবার ও খুন-সহ সব ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে রোহিঙ্গারা। শান্তি বজায় রাখায় জন্য শরণার্থী শিবিরে পুলিশ ক্যাম্প পর্যন্ত বসানো হয়েছে। তাতেও তাদের বাগে আনা যাচ্ছে না। গত ৫ দিনে উখিয়ার ক্যাম্পে এক মহিলা-সহ ৪ জন খুন হয়েছে। জখম হয়েছে ২৫ জনের বেশি। এর জেরে ক্যাম্পে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্তব্যরত ১৪ নম্বর এপিবিএনের উপপরিদর্শক ইয়াসিন ফারুক জানান, নতুন এবং পুরনো রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিরোধের জেরেই খুনের ঘটনাগুলি ঘটছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরো এক রোহিঙ্গা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সে জানিয়েছেন।