দেব গোস্বামী, বোলপুর: অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ তুলে এবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ (C V Ananda Bose) বোসের দ্বারস্থ বিশ্বভারতীর চার পড়ুয়া। মেল মারফত রবিবার তাঁকে গোটা বিষয়টা জানানো হয়েছে বলেই খবর। আরজি জানানো হয়েছে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের।
বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। চলছিল প্রতীকী অনশন-বিক্ষোভ। কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, মঞ্জুরি কমিশন, কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও রাজ্য মহিলা কমিশনে দ্বারস্থ হন নৃতত্ত্ববিদ্যা বিভাগের গবেষণারত চার ছাত্রী। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিষয়টি দেখার নির্দেশও দেওয়া হয় রাজ্যের মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ ত্রিবেদীকে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ। রবিবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আরজি জানালেন গবেষণারত চার ছাত্রী।
[আরও পড়ুন: ডাইনি অপবাদে আদিবাসী মহিলাকে মারধর, তুমুল উত্তেজনা বালুরঘাটে, দায়ের FIR]
এদিন মেলে তাঁরা জানান, দিনের পর দিন নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে তাঁদের উপর। অধ্যাপক অর্ণব ঘোষ ছাত্রীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানসিক এবং শারীরিকভাবে হেনস্তা করছেন। কুপ্রস্তাবে সাড়া না দিলে শিক্ষাজীবন শেষ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ২০২১ সালের মার্চ মাসে বিভাগীয় প্রধান, বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষ, উপাচার্য, আইসিসি কমিটি-সহ একাধিক লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও সুব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ, এমনই অভিযোগ।
পড়ুয়াদের একাংশ বলছেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপাল যেভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন, বিশ্বভারতী ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। গোটা ঘটনায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।