টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে লাগাতার বজ্রাঘাত। আর তার জেরেই বাঁকুড়ায় মৃত্যু হল চারজনের। জখম হয়েছেন মোট ৪ জন। আহতদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে দুর্গতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী।
সোমবার বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির নিত্যানন্দপুর গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে থাকা এক জঙ্গলে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। কাঠ সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার সময় আচমকায় ব্যাপক হারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে তাঁরা একটি পাঁচিলের পাশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে একটা বড় গাছ ছিল। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
[আরও পড়ুন: Loreto College: বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের ভরতিতে না! লরেটো কলেজের নির্দেশিকা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক]
বজ্রপাতে গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া দুই মহিলার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকি তিনজন অমরকানন গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই মহিলার নাম চায়না লোহার (৬০) ও মায়া লোহার (৩৮)। আহত ও মৃত প্রত্যেকেই বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির তরকাবাইদ গ্রামের বাসিন্দা।
বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত এলাকায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। তাঁদের মধ্য়ে চন্দন নাগ অর্জুনপুরের বাসিন্দা। আর মহাদেব দে ঝাউতোরার বাসিন্দা। তাঁদের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বেলশুরিয়ার বামনতোড়ের এক বাসিন্দা জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি।
প্রসঙ্গত, হাওয়া অফিস বলছে, উত্তরবঙ্গে সপ্তাহভর ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি আরও বাড়বে। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টি বেশি হওয়ার আশঙ্কা। দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ; বাড়বে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। দক্ষিণবঙ্গে একদিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অন্যদিকে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। সেই বজ্রপাতেই মৃত্যু হল দুই মহিলার।