সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এর আগে তিনি বলেছিলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকই আসলে হিন্দু (Hindu), কেননা তাদের পূর্বপুরুষ এক। এবারও ঘুরিয়ে একই কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বললেন, ৪০ হাজার বছর ধরে প্রত্যেক ভারতীয়র শরীরে রয়েছে একই ডিএনএ (DNA)।
শনিবার ধরমশালায় প্রাক্তন ভারতীয় সেনাদের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংঘ প্রধান ভাগবত। সেখানেই বলেন, “গত ৪০ হাজার বছরে ভারতীয়দের ডিএনএ-তে কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমাদের পূর্বপুরুষরা অভিন্ন। ওই পূর্বপুরুষদের কারণেই আমাদের সংস্কৃতির বিকাশ অব্যাহত রয়েছে। তাঁদের ও আজকের ভারতীয়দের মধ্যে কোনও তফাত নেই।”
এদিন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের সমাবেশে বিপিন রাওয়াত-সহ তামিলনাড়ুর কুন্নুরের চপার দুর্ঘটনায় মৃত ১৪ জনের প্রতি শোকপ্রকাশ করে ভাগবত দাবি করেন, বিজেপি (BJP) ও আরএসএস পৃথক বিষয়। এও বলেন যে বিজেপি সরকারকে আরএসএস নিয়ন্ত্রণ করে না। এই ধরনের বক্তব্য আসলে মিডিয়ার প্রচার।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুত্বের আবেগ কমছে, চাই অখণ্ড ভারত’, দাবি RSS প্রধান মোহন ভাগবতের়]
মোহন ভাগবত বলেন, “তাদের (বিজেপি) রাজনীতি আলাদা, কাজের ধরনও অন্যরকম। তবে সংঘের চেতনা ও সংস্কৃতির একটা কার্যকারিতা রয়েছে। ওখানে (সরকারে) যাঁরা আছেন, তাঁদের কারও কারও সঙ্গে সংঘের গভীর সম্পর্ক রয়েছে, এর বেশি কিছু না। সংবাদ মাধ্যম যেভাবে লেখে, সংঘের হাতেই রয়েছে বিজেপি সরকারের রিমোট কন্ট্রোল ইত্যাদি, আদতে তেমন কিছু নয়।”
ভাগবতের আরও দাবি, “সরকার সবসময় আমাদের (আরএসএস) বিরুদ্ধেই অবস্থান করে, গত ৯৬ বছর ধরে হাজার বাধা ডিঙিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সংঘের সদস্যরা। সমাজের যখনই প্রয়োজন হয়, তখনই তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করেন। স্বয়ংসেবকরা ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছেন যে সংসদ ভবনের আসন দখল তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। তাঁরা মানুষের পাশে থাকেন, স্বাধীন ভাবে কাজ করেন তাঁরা।”
[আরও পড়ুন: ‘শুধু বিয়ের জন্য ধর্ম বদলে ভুল করছেন হিন্দুরা’, মন্তব্য মোহন ভাগবতের]
প্রসঙ্গত, এর আগেও ভাগবত দাবি করেছিলেন, ভারত ও হিন্দুত্বকে পরস্পরের থেকে আলাদা করা যায় না। সেবার সংঘ প্রধান বলেন, “হিন্দু ছাড়া ভারত হতে পারে না। আবার ভারত ছাড়াও হিন্দু হতে পারে না। এটাই হিন্দুত্বের মূল কথা। আর সেই কারণেই ভারত হিন্দুদের দেশ।”