সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪২ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। ১৫০ ফুট গভীর গর্তে আটকে থাকা ৫ বছরের আরিয়ানকে উদ্ধারের কাজে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। ব্যর্থ হয়েছে সব 'দেশি জুগাড়'। এই অবস্থায় ওই মূল গর্তের পাশে অন্য একটি তির্যক গর্ত খুঁড়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়েছে। বলা যেতে পারে উদ্ধারকারী দলের কাছে এটাই এখন শেষ উপায়। অন্যদিকে, সময় যত গড়াচ্ছে উদ্বেগ তত বাড়ছে।
গত সোমবার রাজস্থানের (Rajasthan) দৌসায় কালিখাড় গ্রামে আরিয়ান নামে ওই শিশু তার মায়ের সঙ্গে মাঠের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় নলকূপ বসানোর বোরওয়েলের কাছে খেলতে গিয়ে তার মধ্যে পড়ে যায়। বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে ঘটে এই দুর্ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার কথা গ্রামে এসে জানান মহিলা। খবর যায় প্রশাসনের কাছে। শিশুটিকে উদ্ধার করতে তড়িঘড়ি সেখানে উপস্থিত হয় জাতীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভিতরে যাতে অক্সিজেনের সমস্যা না হয় তার জন্য পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। ভেতরে ক্যামেরা প্রবেশ করিয়ে শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজস্থানের মন্ত্রী কিরোড়ি লাল মিনা।
জানা গিয়েছে, গর্তের মধ্য থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করতে ৫টি পদ্ধতি ব্যবহার করেন এনডিআরএফের উদ্ধারকারী দল। তবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। মাধোপুর থেকে হাইটেক মেশিন নিয়ে আসা হয়। বোরওয়েলের মধ্যে ছাতার মতো একটি যন্ত্র ঢোকানো হয় যাতে শিশুটিকে তাতে আটকে বের করে আনা যায়। সব শেষে একটি রিং ঢোকানো হয় ভিতরে, তাতেও কাজ হয়নি। এই অবস্থায় মঙ্গলবার শেষ রাতে সেখানে আনা হয় পাইলিং মেশিন। আগে থেকেই জেসিবির সাহায্যে গর্ত খোড়ার কাজ চলছিল গর্তের পাশে।
সেই কাজে গতি আনতে মঙ্গলবার রাত ৩টে থেকে কাজে নেমেছে নয়া মেশিন। বোরওয়েলের পাশে তির্যক ভাবে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এটাই এখন শেষ রাস্তা বলে মনে করছে প্রশাসন। গত সোম ও মঙ্গলবার মূল গর্ত থেকে ২০ মিটার দূরে দফায় দফায় গর্ত খোড়ার কাজ চলেছিল। তবে প্রায় ১০টি জেসিবি কাজে লাগিয়ে ৮০-৯০ ফুট পর্যন্ত গর্ত খোড়া সম্ভব হয়।