সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর থেকেই উত্তপ্ত লাদাখ (ladakh) সীমান্ত। সম্মুখসমরে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত (India) ও চিন (China)। এমনকী জুন মাসে গালওয়ান (Galwan) উপত্যকায় দু’দেশের সেনা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ভারতের ২০ জন সেনা তাতে শহিদ হলেও, কতজন চিনা সৈন্য ওই ঘটনায় হত হয়েছিলেন? তা কখনওই প্রকাশ্যে আনেনি বেজিং। কিন্তু এবার রাশিয়া জানিয়ে দিল, গালওয়ান সংঘর্ষে ৪৫ জন চিনা সৈন্য মারা গিয়েছেন। একটি রিপোর্টে এই দাবি করেছে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা TASS।
ঘটনার সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার থেকে পাওয়া তথ্য থেকেই এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর গালওয়ান ভ্যালিতে দু’দেশের সেনা সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা এবং ৪৫ জন চিনা সৈন্য মারা গিয়েছে।’ যদিও চিন কখনওই এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি। এমনকী নিজের সেনাদের হতাহতের প্রসঙ্গেও কোনও তথ্য দেয়নি। তবে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা অবশ্য এবার সেটাই ফাঁস করে দিল।
[আরও পড়ুন: ‘ক্রোনি-জীবী’রা দেশ বেচে দিচ্ছেন! নাম না করে মোদিকে তীব্র আক্রমণ রাহুলের]
এদিকে, এদিনই লাদাখ সীমান্তে সমস্যা নিয়ে সংসদে বক্তৃতা রেখেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন সংসদে তিনি জানান, ১৯৬২ সাল থেকে লাদাখে ভারতের জমি দখল করে রেখেছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা (China) আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে চিনের আগ্রাসনে দুই দেশের সম্পর্ক প্রভাবিত হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে আলোচনা হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের। চিনকে সাফ জানানো হয়, আলোচনার মাধ্যমেই সীমান্তে শান্তি ফেরাতে হবে। লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পাশে প্রচুর পরিমাণে সেনা ও হাতিয়ার মোতায়েন রেখেছে লালফৌজ। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে চিনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বেজিংকে জানানো হয়েছে একতরফাভাবে সীমান্তের অবস্থান বদলানোর চেষ্টা যেন করা না হয়। আমাদের দৃঢ় পদক্ষেপের বলেই সীমান্তে অস্ত্র কমানোর বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। সেনা সরানো নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণে কমানো হচ্ছে সেনা।