সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর প্রেমে হাবুডুবু অবস্থা ৪৭ বছরের এক স্কুল শিক্ষকের। ১৩ বছরের মেয়েকে বিরাট একপাতার প্রেমপত্রও লিখে ফেলেছেন ওই শিক্ষক। কিন্তু ঘটনার কথা পরিবারকে জানিয়ে দেয় নাবালিকা। এরপর শনিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজের ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমপত্রে ছাত্রীর নাম লিখেছেন শিক্ষক। তিনি খুল্লামখুল্লা লিখেছেন, ছাত্রীকে অসম্ভব ভালবাসেন। স্কুলে লম্বা ছুটি পড়ে গেলে তার অভাব বোধ করবেন। আরও লেখেন, স্কুল যখন ছুটি থাকবে তখন যেন সে শিক্ষকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখে। তার পর লিখেছেন, স্কুলে ছুটি পড়ার আগে যেন তাঁর সঙ্গে একবারটি দেখা করে ছাত্রী। যদি সত্যিই ছাত্রী তাঁকে ভালবাসে, তা হলে যেন অবশ্যই দেখা করে। চিঠি পড়ার সেটি ছিঁড়ে ফেলতেও বলেন শিক্ষক। যদিও তা ঘটেনি।
[আরও পড়ুন: ওয়াগনর কেন, ফরচুনার চাই, পণে পছন্দের গাড়ি না পেয়ে বিয়ে বাতিল অধ্যাপকের]
নাবালিকা মা-বাবাকে গোটা ঘটনা জানায়। শিক্ষকের লেখা চিঠি পরিবারের হাতে তুলে দেয়। স্বভাবতই শিক্ষকের কাজে ক্ষিপ্ত হন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁকে এই কাজের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন। যদিও ছাত্রীর পরিবারকে পাত্তাই দেননি শিক্ষক। তিনি উলটে তাঁদের মেয়েকে গায়েব করে দেওয়ার হুমকি দেন। এর পরেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার। শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন: কেরলে বামেদের সম্মেলনের পোস্টারে বেনজির ভুট্টোর ছবি! ‘দেশের শত্রু’, দাবি বিজেপির]
এসপি কানওয়ার সিং অনুপম জানিয়েছেন, ছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হওয়ায় নড়চড়ে বসে জেলা শিক্ষা দপ্তর। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক কৌস্তভ সিংহ বলেন, “তদন্তের জন্য একটি দল গঠিত হয়েছে। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”