সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনে দিনে ফ্লিপকার্ড, আমাজন, জোম্যাটো, সুইগির মতো অনলাইন সংস্থাগুলি আশ্চর্য প্রদীপের জিন হয়ে উঠছে! ইচ্ছে মতো স্মার্টফোনে আবদার পেশ করলেই তড়িৎগতিতে হাতে চলে আসছে পছন্দের জিনিস। তাই বলে 'গার্লফ্রেন্ড', 'বউ'ও অর্ডার করবে লোকে! এ তো যাকে বলে ঘোর কলি। যদিও অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটোর তথ্য তেমনটাই দাবি করছে। বর্ষবরণে বিপুল পরিমাণে খাবারের অর্ডার যেমন হয়েছে, তেমনই তাদের অ্যাপে ৪৯৪০ জন 'গার্লফ্রেন্ড' খুঁজেছেন (সার্চ করেছেন)। আবার ৪০ জন 'বউ' খুঁজেছেন (সার্চ করেছেন) বলেও জানা গিয়েছে। এমনটা কীভাবে সম্ভব?
এটা ঠিক যে অনলাইনে সবচেয়ে বেশি খাবার অর্ডার করে থাকেন ব্যাচেলার পুরুষরা। তাই বলে তাঁরা ম্যাট্রিমনি অ্যাপের বদলে খাবার পরিবেশনকারী অ্যাপ জোম্যাটোতে 'গার্লফ্রেন্ড' এবং 'বউ' অর্ডার দেবেন! আসলে জোমাটোর চাঞ্চল্যকর ডেটা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা। সেই পোস্টকে ঘিরেই তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয় নেটিজেনদের মধ্যে। অনেকেই ওই পোস্টে তলায় মজার কমেন্ট করেন।
যদিও একজন এক্স ব্যবহারকারী মুস্তাফা খুন্দমিরি লিখেছেন, মানুষ এতটাও বোকা না, যতটা তাদের দেখানো হচ্ছে। তিনি একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন সমাজমাধ্যমে। সেখানে দুটি রেস্তরাঁর নাম দেখা গিয়েছে। একটির নাম 'গার্লফ্রেন্ড ফুড কোর্ট'। এটি অবস্থিত হায়দরাবাদের আমিরপিটে। দ্বিতীয়টির নাম 'গার্লফ্রেন্ড আরবিয়ান মান্ডি রেস্টুরেন্ট'। এটিও রয়েছে হায়দরাবাদে। তবে এই দুটিমাত্র রেস্তরাঁর জন্য চার-পাঁচ হাজার সার্চ কী করে হবে? প্রশ্ন তুলে অনেকেই মজার সব কমেন্ট করেছেন।
কেউ কেউ বলছেন খাবার পরিবেশনকারী অ্যাপে 'প্রেমিকা' কিংবা 'বউ'য়ের খোঁজ, এ কেবল ভারতেই সম্ভব। কেউ কেউ জোম্যাটোকে ম্যাট্রিমনি সাইট খোলারও পরামর্শ দিয়েছে। অনেকের বক্তব্য, বর্ষবরণের রাতে নেশায় ডুবেই জোম্য়াটোতে এমন সব অর্ডার করা হয়েছে। সত্যি কি তাই?