টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার (Bankura) দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতির পদে নাম ঘোষনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দলের হোয়াটস অ্যাপ (Whatsapp) গ্রুপ ছাড়লেন পাঁচজন বিধায়ক! দলীয় বিধায়কদের এহেন বিদ্রোহে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছে বাঁকুড়ার পদ্মফুল শিবিরে। যদিও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়করা।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। ওইদিন গভীররাতে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার চার বিধায়ক নির্মল ধাড়া, দিবাকর ঘরামি, হরকালী পতিহার, অমরনাথ শাখা এবং বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার একমাত্র বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। কিন্তু প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ। নীলাদ্রি শেখর দানার কথায়, “এবিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিছু বলা যাবে না। বিষয়টা সম্পূর্ণ দলের অন্দরের।”
[আরও পড়ুন: দিনহাটায় প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে পরকীয়া স্ত্রীর! মেজাজ হারিয়ে এ কী করলেন স্বামী!]
ওন্দার বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) অমর শাখা এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে তিনি বেরিয়েছেন একথা ঠিকই। কিন্তু কেন তা প্রকাশ্যে বলতে জানাবেন না। পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের ভাঙনে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে জেলা নেতৃত্বের। তবে এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাঁকুড়া আদালতের আইনজীবী বিল্লেশ্বর সিংহ এবং বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার নয়া সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলরা বলেন, “হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পিছনে বিদ্রোহ কোথায় খুঁজে পেলেন?”
পাঁচ বিজেপি বিধায়কের আচমকা দলের হোয়াটসঅ্যাপ থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রাথমিকভাবে দলের রদবদলের জেরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের খবর শোনা গেলেও কেউ এদিনে প্রকাশ্যে কিছু জনাননি। ফলে ঠিক কেন ওই বিজেপি বিধায়করা গ্রুপ ছাড়লেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, গত শনিবারই বাঁকুড়ার দুই সাংগঠনিক জেলার দুই নতুন মুখকে সভাপতি করার পরই বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ চরমে উঠেছে। এক বছরের মধ্যে জেলা সভাপতির পদ থেকে বিষ্ণপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত আগস্তিকে অপসারিত করার ফলে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সুজিত বাবুর অনুগামীরা।