সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিক্ত অভিজ্ঞতা৷ পারস্পরিক সন্দেহ৷ কৌশলগত দন্দ্ব ও আধিপত্যের লড়াই৷ এই কটা শব্দেই পরিষ্কার ভারত-চিন সম্পর্কের ছবি৷ বিশ্বমানচিত্রে আধিপত্যের লড়াইয়ে এশিয়া মহাদেশের পরমাণু শক্তিধর এই দুই দেশ ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে সংঘাতের দিকে৷ নিউক্লিয়ার গ্রুপ থেকে শুরু করে পাকিস্তানকে মদত দেওয়া, ক্রমাগত ভারতকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন৷ তবে বেজিংয়ের কুমতলব বুঝতে পেরেছে দিল্লি৷ তাই এবার সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ভারতীয় সেনাকে৷ তবে চিনের কাছে রয়েছে এমন পাঁচটি অস্ত্র যা বাড়িয়ে তুলেছে দিল্লির সামরিক কর্তাদের চিন্তা৷ কী সেই অস্ত্র জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে৷
১) WU-14 হাইপারসনিক ওয়েপন সিস্টেম: ৯ জানুয়ারি এই ভয়ঙ্কর অস্ত্রটি পরীক্ষা করে চিন৷ শব্দের থেকেও ৫-১০ গুণ গতিসম্পন্ন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ঘণ্টায় ৩,৮৪০ থেকে ৭,৬৮০ মাইল অতিক্রম করতে পারে৷ কয়েকদিন আগেই একটি DF-21 ব্যালিস্টিক মিসাইল থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে ছোড়া হয় অস্ত্রটি৷ প্রচণ্ড গতিসম্পন্ন হওয়ায় অস্ত্রটি ২০ মিনিটের মধ্যে বেঙ্গালুরু ও ১০ মিনিটেরও কম সময়ে দিল্লিতে আঘাত হানতে পারে৷
২) অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী: ভারত-চিন সীমান্তের অধিকাংশই পাহাড়ি এলাকা৷ তাই যদি যুদ্ধ বাধে, নির্ণায়ক লড়াই হবে সমুদ্রে৷ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠদের তালিকায় রয়েছে ভারতীয় নৌসেনা৷ তাই ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তার করতে লালফৌজ এবার অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী বানাচ্ছে৷ লিয়াওনিং নামের একটি এয়ারক্রাফট কেরিয়ার লালফৌজের ঝুলিতে রয়েছে৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে চিন এমন তিনটি বিমানবাহী রণতরী বানাচ্ছে যা ৭৫টি জঙ্গিবিমান বহনে সক্ষম৷
৩) সেকেন্ড আর্টিলারি কর্পস: লালফৌজের এই ভয়ংকর শাখায় রয়েছে DF-15C, DF-21-র মতো কয়েকশো ব্যালিস্টিক মিসাইল৷ এছাড়াও রয়েছে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র৷ ১,০৮৭ মাইল থেকে শুরু করে ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলগুলি ভারতের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম৷ ভারতীয় সেনার কাছে এই মুহূর্তে কোনও মিসাইল প্রতিরক্ষা পদ্ধতি নেই৷ তাই যুদ্ধ বাধলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে৷
৪) DH-10 ক্রুজ মিসাইল: আমেরিকার মারাত্মক অস্ত্র টমাহক ক্রুজ মিসাইলের আদলে তৈরি চিনের এই DH-10 বা ডং হাই-১০ ক্রুজ মিসাইল৷ ৯৪১ মাইল পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এটি৷ রাডারে প্রায় অদৃশ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মাটি, আকাশ ও সুমদ্র থেকেও ছোড়া যায়৷ প্রায় ১০০০ পাউন্ড ওজনের বিস্ফোরক বহন করতে পারে এই মিসাইলটি৷
৫) Chengdu J-20: চিনের এই জঙ্গি বিমানটি যে কোনও শত্রুকে চিন্তায় ফেলে দিতে পারে৷ ২০২০ থেকে লালফৌজের বায়ুসেনায় যুক্ত হবে এই বিমানটি৷ স্টেলথ প্রযুক্তি সম্পন্ন এই বিমানটি তিব্বতে মোতায়েন করতে পারে চিন৷ যুদ্ধ শুরু হলে তিব্বত থেকে ভারতে হামলা চালাতে পারে এই বিমানগুলো৷
নিশানায় ভারত-আমেরিকা ও জাপান, মহড়ায় নামল চিনের ‘রকেট ফোর্স’
দক্ষিণ চিন সাগরে চরমে লালফৌজের যুদ্ধ প্রস্তুতি
একসঙ্গে ১০টি পরমাণু বোমা বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল চিন
The post চিনের এই ৫টি অস্ত্রেই চিন্তিত ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.