সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া এবার মধ্যপ্রদেশে। বাড়ির ভেতর থেকে একই পরিবারের ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। এই ঘটনা আত্মহত্যা নাকি খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।
সোমবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার গুনেরি পঞ্চায়েতের রাউদি গ্রামে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে বাড়ির প্রধান রাকেশের এক কাকার নজরে আসে বিষয়টি। তিনিই প্রথম পুলিশে খবর দেন। মৃতরা হলেন, রাকেশ ও ললিতা। এরা দুজন স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের ৩ সন্তান, মেয়ে লক্ষ্মী, ছেলে প্রকাশ এবং অক্ষয়। ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪ জনের দেহ। বিছানায় শায়িত ছিল এক শিশুর দেহ। যদিও এই ঘটনাকে আত্মহত্যা মানতে মৃতের আত্মীয়রা। তাদের খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলের সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হেজবোল্লার, আহত ১৮ জওয়ান]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলেই অনুমান করছেন তারা। এক্ষেত্রে পরিবারের কোনও সদস্য বাকিদের খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের আত্মীয়দের বয়ান সংগ্রহ করছে পুলিশ। এদিকে গ্রামবাসীদের দাবি, ওই পরিবারের আত্মহত্যার কোনও কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বাড়ির প্রধান রাকেশ কিংবা তাঁর পরিবারের অন্য কেউ কোনও সমস্যার কথা তাঁদের কখনও জানাননি। তেমন কোনও সমস্যা থাকলে গ্রামের কেউ না কেউ বিষয়টি ঠিক জানতে পারত। এমনকী ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জিকা, পুনেতে গত ১০ দিনে ভাইরাস আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলা-সহ ৫]
এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনা উস্কে দিচ্ছে ৬ বছর আগে দিল্লির বুরারি কাণ্ডের স্মৃতি। ২০১৮ সালে একই বাড়ির মোট ১১ জন সদস্য আত্মঘাতী হয়েছিলেন। কুসংস্কারচ্ছন্ন হয়েই এমন নির্মম সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছিলেন তাঁরা বলে জানতে পারে পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরের ঘটনাও কি তেমন কিছু, পুলিশি তদন্তেই তা স্পষ্ট হবে।