সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লেবাননে (Lebanon) প্যালেস্তিনীয় শরণার্থী শিবিরে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও সাত জন। জানা গিয়েছে, এক সামরিক কর্তাকে খুন করার উদ্দেশ্যে শরণার্থী শিবিরে এসেছিল অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজ। কিন্তু সামরিক কর্তার এক সহযোগীকে খুন করে পালায় সে। তারপরেই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই শিশু-সহ পাঁচজনের। যদিও রাষ্ট্রসংঘের মতে, ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৬।
লেবাননে অবস্থিত সবচেয়ে বড় প্যালেস্তিনীয় (Palestine) শরণার্থী শিবির রয়েছে এইন এলহিলয়েহতে। প্রায় ৪৫ হাজার প্যালেস্তিনীয় এখানে বসবাস করেন ১৯৪৮ সাল থেকে। সেখানেই রবিবার হামলা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থাগুলির সূত্রে জানা গিয়েছে। শরণার্থী শিবিরের কাছেই সেনা ছাউনিতে একটি মর্টার শেল ছোঁড়া হয়। তাতে এক সেনা জওয়ান আহত হন।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মণিপুরের দুই নির্যাতিতা, ভাইরাল ভিডিওর শুনানি প্রধান বিচারপতির এজলাসে]
তারপরেই শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় এক বন্দুকবাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্যালেস্তিনীয় (Palestinian) আধিকারিক জানিয়েছেন, মাহমুদ খলিল নামে এক সামরিক কর্তাকে হত্যা করতে শিবিরে এসেছিল এক অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজ। কিন্তু খলিলের এক সহকারীকে খুন করে পালায় সে। এরপরেই পালটা হামলা হয় শরণার্থীদের এক গোষ্ঠীর উপর।
রবিবার প্যালেস্তিনীয়দের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, কমান্ডার আশরাফ আল-আরমৌচি-সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে হামলার ফলে। লেবাননের শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে প্যালেস্তিনীয় গোষ্ঠী ফাটাহ। হামলায় ৫ জনের মৃত্যুর পরেও একে অপরকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে দুই গোষ্ঠী। আতঙ্কিত হয়ে শিবির ছেড়ে পালিয়েছেন বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, শরণার্থীদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত চলছে। কিন্তু লেবাননের সেনা এই সংঘাত মেটাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে এহেন ঘটনা ঘটিয়ে লেবাননকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চাপে ফেলা হচ্ছে বলে তোপ দেগেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী।