সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে অশান্তি অব্যাহত। এবার জিরিবাম জেলায় গুলির লড়াইয়ে নিহত অন্তত ৬ জন। চূড়াচাঁদপুরে জঙ্গিদের বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার বিষ্ণুপুরে রকেট হামলায় একজনের মৃত্যুর পরেই ধ্বংস করা হয় ওই বাঙ্কারগুলি।
গোটা রাজ্যকে সেনায় মুড়ে ফেলা হলেও হিংসায় লাগাম টানা যাচ্ছে না মণিপুরে। গতকাল ময়রাং শহরে রকেট হামলা চালায় আততায়ীরা। সেনার মিউজিয়াম থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে চলে এই হামলা। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। পাশাপাশি ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলমিটার দূরে বিষ্ণুপুর এলাকায় আরও একটি ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। শুক্রবারের পর শনিবারও রক্তাক্ত হল উত্তর-পূর্বের রাজ্য। এদিন এক ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে জিরিবাম জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের হাতছানি দিয়ে সায়ানাইড খাইয়ে পর পর খুন! গ্রেপ্তার ৩ মহিলা সিরিয়াল কিলার]
গত ১ সেপ্টেম্বর কাংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলে জেলায় বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনের হামলায় নিহত হন দু’জন। আহত হয়েছিলেন সাত জন। দুই ক্ষেত্রেই হামলা হয় মেইতেই জনগোষ্ঠীর এলাকায়। মণিপুর সরকারের দাবি, কুকি জঙ্গিরাই হামলা চালায়। অন্যদিকে শুক্রবার বিকেলে বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাংয়ে ফিওয়াংবাম লেইকাই এলাকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মৈরেম্বাম কৈরেং সিংয়ের বাড়ির কাছে আছড়ে পড়ে রকেট! তার আঘাতে আর রে রাবেই (৭০) নামে স্থানীয় এক বয়স্ক পুরোহিতের মৃত্যু হয়। বেশ কয়েক জন জখম জন।
[আরও পড়ুন: জেলে মৃত্যু হলে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য! ঘোষণা কেজরিওয়াল সরকারের]
উল্লেখ্য, মণিপুরে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে আগস্ট মাসে সাফল্য পেয়েছিল সেরাজ্যের বিজেপি সরকার। জিরিবাম জেলায় বিবাদমান দুই গোষ্ঠী কুকি এবং মেতেইদের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। দুই পক্ষই অস্ত্র ছেড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একে অপরকে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছিল বলে মণিপুর সরকারের দাবি। সেই এলাকাও শনিবার রক্তাক্ত হল। আগেই রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতে নতুন করে হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা প্রকাশ্যে আসছিল।