shono
Advertisement

বিভাজনের রাজনীতি! ৪০ লক্ষ অসমীয়া ভাষী মুসলমানকে ‘ভূমিপুত্র’মর্যাদা দিল অসম সরকার

অসমের বেশিরভাগ মুসলিম বাসিন্দাই বাংলাভাষী।
Posted: 02:57 PM Jul 06, 2022Updated: 02:57 PM Jul 06, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চল্লিশ লক্ষ অসমীয়া ভাষী মুসলমানকে ‘ভূমিপুত্র’ মর্যাদা দিল অসম সরকার। এই মর্মে মঙ্গলবার প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্ত্রিসভায়। রাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন ও অধিকার নিশ্চিত করতে এটা বড় পদক্ষেপ। তবে, বিশ্লেষকদের একাংশের অভিযোগ, ভাষার ভিত্তিতে অসমের মুসলিম সমাজে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি।

Advertisement

মঙ্গলবার অসমের পাঁচটি মুসলিম জনগোষ্ঠী–গোরিয়া, মোরিয়া, জোলা, দেশি ও সৈয়দ-কে ভূমিপুত্রের তকমা দিয়েছে অসমের (Assam) বিজেপি সরকার। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা টুইট করে জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। টুইটারে তিনি লেখেন, “এই সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। পুরোন গাড়ি বাতিল, পাঁচটি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভূমিপুত্রের তকমা দেওয়া, অনসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ও সেনাকর্মীদের বিধবাদের জন্য প্রপার্টি ট্যাক্সে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ভূমিপুত্রের মর্যাদা পাওয়ায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক স্বকীয় পরিচয় রক্ষার পথ আরও সুগম হবে।

[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের হেঁশেলে আগুন, ফের লাফিয়ে বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম]

অসম সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, অসম সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের আবেদনের ভিত্তিতেই এই শংসাপত্র তৈরি করছে রাজ্য সরকার। সরকারের যুক্তি, এর ফলে সহজে সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করা যাবে। তাদের জন্য একাধিক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে, আলাদা দপ্তর রয়েছে। এবার সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যাবে। এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর গোরিয়া উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজউল আহমেদ বলেন, “আমরা ২০০৬ সাল থেকে আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য একটি পৃথক শ্রেণিভাগের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু যেহেতু এমন কিছু ছিল না, তাই আমরা বাংলাভাষী মুসলমানদের চাপে দূরে সরে যাচ্ছিলাম। আজকের সিদ্ধান্তের জন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অসম সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে উপকৃত হবেন এই পাঁচ জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০ লক্ষ অসমীয়া ভাষী মুসলমানরা। সরকারের দাবি, এদের পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে ‘অনুপ্রবেশ’ করার কোনও প্রমাণ নেই। এদিকে, বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এই পদক্ষেপ করে অসমের মুসলিম সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। বলে রাখা ভাল, অসমের বেশিরভাগ মুসলিম বাসিন্দাই বাংলাভাষী। পূর্ববঙ্গের সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে। এদের অনেকেই দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই অসমে বসবাস করছেন। কিন্তু শুধুমাত্র অসমীয়া ভাষী মুসলিমদের স্বীকৃতি দিয়ে স্পষ্ট বিভাজনের রেখা টেনে দিয়েছে সরকার।

[আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কাছে টানতে ‘স্নেহ যাত্রা’, নয়া কর্মসূচি ঘিরে বিজেপির অন্দরে তোড়জোড়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement