সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে তালিবান (Taliban) ও ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)-এর (ISIS-K) মধ্যে রক্তাক্ত সংঘাতের আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছিল কয়েক দিন আগেই। গত শনিবার ও রবিবার নানগরহার প্রদেশে বিস্ফোরণ ঘটায় আইএস। হামলায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। বুধবার ফের হামলার সাক্ষী হল আফগানভূম। জালালাবাদের ৭ নম্বর জেলায় এদিন সকালে তালিব যোদ্ধাদের গাড়িতে হামলায় মৃত্যু হয় ৫ জনের। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মৃতদের মধ্যে দু’জন তালিবান যোদ্ধা। বাকিরা সাধারণ নাগরিক। এই হামলাতেও আইসিসের দিকেই সন্দেহে তির।
এর আগে আইসিসের সঙ্গে তাদের সংঘাতের বিষয়টিকে উড়িয়ে দিতে দেখা গিয়েছে তালিবানকে। সম্প্রতি আফগান সংবাদমাধ্যম Tolo News-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগান সংস্কৃতি এবং তথ্যমন্ত্রকের ডেপুটি মিনিস্টার জাবিউল্লা মুজাহিদ বলে, “দায়েশ (ইসলামিক স্টেটের আরও একটি নাম) তেমন ভয়ের কারণ নয়। মানুষ তাদের ঘৃণা করে। দায়েশকে কেউ সমর্থন করে না। অতীতেও আমরা সাফল্যের সঙ্গে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কীভাবে তাদের জারিজুড়ি ভেঙে দিতে হবে তা আমরা জানি।”
[আরও পড়ুন: SAARC বৈঠকে তালিবানের উপস্থিতির দাবি তুলল পাকিস্তান, ভেস্তে গেল আলোচনা]
তবে মুজাহিদ যাই বলুক না কেন, বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে ক্রমে শিকড় মজবুত করছে সুন্নি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)। এবং ভবিষ্যতে তা তালিবানের মাথাব্যথার প্রধান কারণ হয়ে উঠতে চলেছে।
বলে রাখা ভাল, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। কিন্তু ফের শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।