অর্ণব দাস, বারাসত: বারাসতে বাম ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভে পুলিশের উপর হামলা এবং জেলা পরিষদের সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা পুলিশও লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। মঙ্গলবার জেলা পরিষদে বামফ্রন্টের ছাত্র-যুবদের মিছিল করে এই স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রে চেহারা নিল বারাসত চত্বর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি, একশো দিনের কাজের বকেয়া পরিশোধ, আবাস যোজনায় ন্যায্য প্রাপকদের ঘর দেওয়া-সহ সাত দফা দাবিতে এদিন দুপুরে বারাসতের হেলা বটতলা থেকে মিছিল করে জেলা পরিষদে ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছিল বাম ছাত্র-যুবরা। কিন্তু জেলা পরিষদের প্রবেশের আগেই ছন্দপতন। পুলিশের ব্যারিকেডে মিছিল বাধা পায়। ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, তখন পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। একইসঙ্গে জেলা পরিষদের গেট এবং ওই চত্বরের সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ফলে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
[আরও পড়ুন: ‘এখন শুধু মৃত্যুর অপেক্ষা!’ নোবেলের নতুন পোস্টে শোরগোল, হঠাৎ কী হল গায়কের?]
বিক্ষোভকারীদের মারে পাঁচজন পুলিশ কর্মী জখমও হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ। বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এদিনের ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পাশাপাশি ১০ জনকে আমরা আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে।” ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার জেলা সদর বারাসত মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল।
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “হার্মাদ বাহিনী ডেপুটেশনের নামে গুন্ডামি করেছে। জেলা পরিষদ চত্বরে থাকা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার পাশাপাশি পুলিশকে অমানবিকভাবে মারধরও করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা বুধবার বারাসতে শান্তি মিছিল করব।” যদিও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের যুব সংগঠনের জেলা সম্পাদক সপ্তর্ষি দেব বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জেলা পরিষদ অভিযান করছিলাম। কিন্তু, পুলিশ বাধা দেয়। পুলিস আমাদের উপর লাঠিচার্জ করায় কর্মীরা প্রতিরোধ করেছে। কোথাও কোনও সম্পত্তি নষ্ট হয়নি। তবুও আমাদের কর্মীদের পুলিশ আটক করেছে।”