সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজা তৃতীয় চার্লসের (King Charles III) রাজ্যাভিষেককে কেন্দ্র করে মাতোয়ারা ব্রিটেন। ‘অপারেশন গোল্ডেন অর্বে’র দিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। অবশেষে সম্পন্ন রাজ্যাভিষেক। রাজার হাতে রাজদণ্ড, স্বর্ণগোলক ও রাজকীয় তরবারি-সহ একাধিক প্রতীকী ভূষণ তুলে দেওয়া হল। মাথায় পরানো হল রাজমুকুট। চোখ ঝলসে দেওয়া বর্ণাঢ্য় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেশবিদেশের প্রায় ২ হাজার অতিথি। জানেন কি কোন পাঁচটি জিনিসের দিকে নজর রয়েছে সকলের।
করোনেশন চেয়ার: ওক কাঠের তৈরি ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি দীর্ঘ চেয়ারটি ১৩০৮ সাল থেকে প্রতিটি করোনেশনের অংশ। অর্থাৎ প্রায় ১ বছরের রাজ ঐতিহ্যকে স্পর্শ করবেন চার্লস। স্বাভাবিক ভাবেই সেই চেয়ারের দিকে নজর সকলের।
[আরও পড়ুন: চার্লসের রাজ্যাভিষেকে না থেকেও ‘উপস্থিত’ ডায়না! জনমানসে আজও অমর ‘বিদ্রোহী সুন্দরী’]
করোনেশন স্পুন: রুপোর উপর সোনার জল করা এই চামচটি ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধের একমাত্র স্মারক। ১৬৪৯ সালে রাজা প্রথম চার্লসের মৃত্যুর পর এই সেটের বাকিগুলি হয় গলিয়ে ফেলা হয়েছে নয়তো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। রয়ে গিয়েছে এই সাড়ে ১০ ইঞ্চির চামচটি।
কালিনান হিরে: ২ স্টোন কাট এই হিরে আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত সবচেয়ে বড় ‘রাফ ডায়মন্ড’। করোনেশনের অন্যতম এই হিরেকে ঘিরে বিতর্কও রয়েছে। ১৯০৫ সালে এটি পাওয়া গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার শোষণের নিদর্শন এই হিরেও এদিনের করোনেশনের অন্যতম আকর্ষণীয় এক উপাদান।
[আরও পড়ুন: রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেকে থাকছেন কোন কোন ভারতীয়?]
সেন্ট এডওয়ার্ড’স ক্রাউন: ওজন ৪.৬ পাউন্ড অর্থাৎ ২.০৮ কেজি। ১৬৬১ সালে রাজ্য দ্বিতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের জন্য নির্মিত এই মুকুটই এদিন পরানো হবে চার্লসকে।
গোল্ড স্টেট কোচ: কাঠের উপরে সোনার পাত লাগানো এই ঘোড়াচালিত গাড়ি ১৭৬২ সাল থেকে রাজ পরিবারের সঙ্গী। ১৮৩১ সাল থেকে প্রতিটি করোনেশনেই দেখা মেলে এই ঐতিহ্যবাহী গাড়িটির। এদিন এই গাড়ি করেই চার্লস-ক্যামিলার ফিরে যাওয়ার কথা বাকিহাম প্যালেসে।