সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ক্ষমতা দখলের পরেও ঝালদা নিয়ে অস্বস্তি কাটছে না শাসক শিবিরে। সোমবার পুরপ্রধানের ডাকা বোর্ড মিটিংয়ে গরহাজির তৃণমূলের প্রতীকে জেতা পাঁচ কাউন্সিলর-ই। তবে শাসক দলে যোগদানের পর যে চার কাউন্সিলর বেপাত্তা ছিলেন তার মধ্যে তিনজন এদিন পুরবোর্ডের মিটিংয়ে হাজির হন। কিন্তু ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু চন্দ্র যাকে ঘিরে ‘অপহরণ’র তত্ত্ব সামনে এসেছে তাকে এদিন অবশ্য এই বৈঠকে দেখা যায়নি। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে তাঁকে ফোন করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।
এদিনের বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের উপপুরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু ও আর এক কাউন্সিলর বিপ্লব কয়ালও অনুপস্থিত ছিলেন। পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ত্রাণ বন্টন নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠকের বিষয়ে আমাদের দলের কাউন্সিলর প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে এই বৈঠকটা করে নিতে বলেন। এছাড়া আমি উপ-পুরপ্রধানের সঙ্গেও যোগাযোগ করি।”
[আরও পড়ুন: ছাত্রের কানমলা দিলে ওঠবোস করানোর শাস্তি! স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের মার পরিবারের]
তৃণমূলে যোগদান করার পর থেকেই পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায় সবার সঙ্গে মিলেমিশেই কাজ করছেন। কিন্তু তারপরেও শাসক দলের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে পুরসভায় কানাঘুষো চলছে। এই কারণেই দিন দিন জল্পনা বাড়ছে। এদিন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল জানান, “ওই বৈঠকের বিষয়ে আমি কোনও চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে অবশ্যই বৈঠকে যেতাম।” একইভাবে দলীয় প্রতীকে জেতা আরও চার কাউন্সিলর এদিনের বৈঠকে আসেননি। তবে এদিনের বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া তিন কাউন্সিলর মিঠুন কাঁদু, বিজয় কান্দু ও সোমনাথ কর্মকার। পুরপ্রধান বলেন, “ত্রাণ নিয়ে আমরা প্রাথমিক আলোচনা করলেও পরবর্তীকালে আবার বৈঠক হবে। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়নি। “
গত বুধবার পুরপ্রধান ও চার কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগদানের পর বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক ছিল এই পুরসভায়। ওই বৈঠক আগেই ডেকেছিলেন পুরপ্রধান। অস্থায়ী কর্মচারী ও পেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে ওই বৈঠক পরবর্তীকালে পুরপ্রধান বাতিল করলেও শাসকদলের প্রতীকে জেতা পাঁচ কাউন্সিলর বৈঠক করেন কংগ্রেসের উপ-পুরপ্রধান ও আরেক কাউন্সিলরের সঙ্গে। ওই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলররা। এবার তার উলটো ছবি দেখল ঝালদা পুরসভা।