সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২ সালেই গর্ভপাত আইন বাতিল করে দিয়েছিল মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট (USA Supreme Court)। একাধিক প্রদেশে এই আইনের তীব্র বিরোধিতা হলেও বেশ কয়েকটি প্রদেশে সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে মান্যতা দেওয়া হয়। এবার নারী দিবসের প্রাক্কালে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন পাঁচ মহিলা। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও গর্ভপাতের অনুমতি পাননি তাঁরা।
বেশ কয়েকটি প্রদেশের মতো টেক্সাসেও (Texas) গর্ভপাতের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। প্রাণসংশয় দেখা না দিলে টেক্সাসের চিকিৎসকরা গর্ভপাতের অনুমতি দেন না। এহেন আইনের বিরুদ্ধে এক আবেদনকারিণী অভিযোগ করেছেন, “মৃত সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা ছিল। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছিল যে আমার প্রাণসংশয় দেখা দেয়। তবুও গর্ভপাতের অনুমতি মেলেনি।” অস্ত্রোপচার করতে দেরি হওয়ায় তাঁর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। একটি ফ্যালোপিয়ান টিউবও নষ্ট হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: একাকিত্বে ঘরবন্দি মেয়ে, শক্তিগড়ে বসে সুকন্যার ভাল থাকার ব্যবস্থাই করেছিলেন অনুব্রত!]
অ্যামেন্ডা নামে ওই অভিযোগকারিণীর সঙ্গী হয়েছেন আরও চার মহিলা। তাঁরাও টেক্সাসে থেকে গর্ভপাতের (Abortion) অনুমতি পাননি। পরে অন্য প্রদেশে গিয়ে তাঁরা গর্ভপাতের অস্ত্রোপচার করেন। আদালতে মামলা দায়ের করে এই পাঁচ নারীর অভিযোগ, “টেক্সাসের আইনের স্বচ্ছতা নেই। গর্ভপাতের অনুমতি দিলে চিকিৎসকদের জন্য কড়া শাস্তির আইন রয়েছে। তাই ভয় পেয়ে কোনও পরিস্থিতিতেই গর্ভপাতের অনুমতি দিচ্ছেন না তাঁরা।”
এই পাঁচ আবেদনকারিণীর হয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি বলেন, “প্রয়োজনমতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রায় মরতে বসেছিলেন এই পাঁচজন। আদালতের কাছে তাঁরা যে আবেদন করেছেন, সেখানে আরও অনেক মহিলার জীবন কাহিনী রয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে তাঁরা সকলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।” চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর মুখ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে হবে কেন? প্রশ্ন অভিযোগকারিণীদের।