অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ফের শিশু বিক্রির অভিযোগ ঘিরে ছড়াল তুমুল চাঞ্চল্য। অপহরণ করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধেই। শুক্রবার সকাল থেকে শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর রবিবার রাত পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপহরণের অভিযোগ তুলে শিশুটির পরিবারের তরফে শুক্রবারই বিকেলে ডোমজুড় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ডোমজুড়ের বানিয়ারায় বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় এক শিশু। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটির বছর পঁচিশের এক খুড়তুতো দাদাই তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। এমনকী, রোহন মালিক নামে বছর পাঁচেকের শিশুটিকে বিক্রি করে দেওয়ারও আশঙ্কা করেন শিশুটির বাবা ও মা।
[আরও পড়ুন: আসতেন খোদ লর্ড ক্যানিং, শতাব্দীপ্রাচীন দুর্গাপুজো ঘিরে বারুইপুরের ঘোষবাড়িতে সাজ সাজ রব]
শিশুটির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক ডোমজুড়ে শিশুটির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শিশুটিকে নিয়ে ডোমজুড়ের বানিয়ারার বাড়ি থেকে বের হয়। তার পর আর বাড়ি ফেরেনি ওই যুবক। দীর্ঘসময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খোঁজখবর শুরু করে পরিবার। কিন্তু কোথাও তাদের সন্ধান না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ডোমজুড় থানার দারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজ শিশুটির পরিবারের দাবি, পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবকই পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে কোথাও আটকে রেখেছে বা বিক্রি করে দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেই আসল সত্যি বেরিয়ে পড়বে। ওই যুবক কর্মসূত্রে কেরলে থাকে।
শিশুটির মা মেহেনুর বেগম শনিবার কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “ভাইপো আমার ছেলেকে নিয়ে পালিয়েছে। ওকে বিক্রি করে দিয়েছে। আমার ছেলেকে ফেরত চাই। ওদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঝগড়াঝাঁটি রয়েছে। তাই এমন কাজ করেছে আমার ভাইপো।” শিশুটির বাবা মুকারিম মল্লিক বললেন, “শুক্রবার সকাল থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে আমরা যখন ছেলেকে পাইনি। তখন বিকেল চারটে নাগাদ ডোমজুড় থানায় গিয়ে অপহরনের ডায়েরি করেছি। আমাদের ছেলেকে ফিরিয়ে দিক পুলিশ।” প্রসঙ্গত, নিখোঁজ পাঁচ বছরের ওই শিশু ও তার পরিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু বর্তমানে তারা ডোমজুড়ের বানিয়ারায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে।