নন্দন দত্ত, বোলপুর: স্কুলে একজন মাত্র শিক্ষক। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা স্লিপে চড়ে খেলে চলেছে ক্রমাগত। দুষ্টুমিতে অতিষ্ঠ হয়ে ৫০ জন পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাদের মধ্যে ৫-৬ জন। অসুস্থ অনেকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের পাড়ুইয়ে।
পাড়ুই থানার অন্তর্গত মালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষকের সংখ্যা তিন। এক দিদিমণি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। আরেকজন ছুটি নিয়েছেন। ফলে শুক্রবার শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষক ছিলেন স্কুলে। এদিন পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৫০ জন। কেউ খেলছে, কেউ দুষ্টুমি করছে। সবাইকে নিয়ে নাজেহাল হয়ে যান প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ পাইন। অভিযোগ, তিনি বেধড়ক মারধর করেন ৫০ পড়ুয়াকে। তাতেই রক্তাক্ত হয় স্কুল। শিক্ষকের অমানবিক মারে প্রায় ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীই অসুস্থ হয়ে পড়ে। গুরুতর জখম ৫-৬ জন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ১৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাড়িতে। এই ঘটনার জেরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন অভিভাবকরা। পুলিশ প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ পাইনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য শুক্রবার সন্ধেয় থানায় নিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গু মিছিল ও স্মারকলিপি পেশকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতি, ধুন্ধুমার নৈহাটি পুরসভায়]
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংসদের সভাপতি প্রলয় নায়েক জানান, “অভিযোগ পেয়েছি, এলাকার স্কুল পরিদর্শককে ঘটনার পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাতে বলেছি। আপাতত শিক্ষককে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এদিনের ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। অভিভাবক বাবলু খান বলেন, এই শিক্ষককে অবিলম্বে বদলি করা হোক। এই শিক্ষক থাকলে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা যেতে ভয় পাবে। পাশাপাশি আমরাও আর স্কুলে পাঠাবো কিনা ভাবব।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অভিভাবকদের একাংশ জানান, স্লিপ থেকে পরে দুই ছাত্র জখম হয়। তখন আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি শিক্ষক। তার জেরেই তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।