সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম ই-স্কুটার তৈরির কারখানা (E-scooter factory) স্থাপিত হতে চলেছে বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত ৫০০ একর জমির উপরে। অ্যাপ ক্যাব সংস্থা ওলা (Ola) এই কারখানা তৈরি করবে। সংস্থার কর্ণধার ভাবিশ আগরওয়াল সম্প্রতি সেই জমি নিজে ঘুরে সরেজমিনে দেখেছেন। তাঁর আশা, আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে ওই কারখানা। সংস্থার পরিকল্পনা, এই কারখানা বছরে ১ কোটি ই-স্কুটার তৈরি করতে পারে।
অতিমারীর আবহে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে সংস্থার ক্যাবের ব্যবসা। আর সেই কারণেই টেসলার মতো সংস্থার উদাহরণকে সামনে রেখে অন্যদিকে নজর ফেরাতে চাইছে ওলা। ভাবিশ জানিয়েছেন, দুই, তিন ও চার চাকার স্কুটার তৈরি করতে চান তাঁরা। কারখানার পুঁজি সম্পর্কেও আত্মবিশ্বাসী ভাবিশ। তাঁর কথায়, ”আমাদের হাতে যথেষ্ট পুঁজি রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের অভূতপূর্ব আগ্রহও রয়েছে।” আপাতত তাই ই-স্কুটার তৈরির কারখানা নিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত ওলা কর্ণধার।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী আবহে সংসদের অধিবেশন স্থগিত রাখা হোক, লিখিত আবেদন তৃণমূলের]
বেঙ্গালুরু থেকে আড়াই ঘণ্টা যাত্রাপথের দূরত্বে অবস্থিত ওই ৫০০ একর জমি। ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে ওই কারখানা নির্মিত হতে চলেছে। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হলে ২০২২ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে বিশ্বের মোট ই-স্কুটার নির্মাণের ১৫ শতাংশই থাকবে ওলার নিয়ন্ত্রণে। আগামী বছর থেকে কারখানা সম্প্রসারিত হয়ে গেলে কার্যত ২ সেকেন্ডে একটি করে স্কুটার বাজারজাত হবে। ভাবিশ আগরওয়াল মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে তাঁর সংস্থা।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, লড়াইটা যথেষ্ট কঠিনই হতে চলেছে ওলার। হিরো মোটর কর্প, বাজাজ অটোর মতো দেশীয় সংস্থা ছাড়াও চিনা ও অন্যান্য বিদেশি সংস্থার তৈরি ই-স্কুটার বাজারে রয়েছে। ফলে রীতিমতো প্রতিযোগিতার আবহ রয়েছে। তবুও আত্মবিশ্বাসী ভাবিশ, তাঁর কথায়, ”বিশ্বের বৃহত্তম ই-স্কুটার সংস্থা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”