চঞ্চল প্রধান, নন্দীগ্রাম: এবার খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিজের গড় নন্দীগ্রামেই বিজেপিতে ধস নামল। আর সেই ধসের নেতৃত্বে গত বিধানসভা ভোটে শুভেন্দুর অন্যতম নির্বাচনী সেনাপতি জয়দেব দাস। ‘মিথ্যাচার, ভণ্ডামিতে ভরে গিয়েছে বিজেপি দল’ বলে শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে শুভেন্দুকে তুলোধোনা করেন তিনি। ৩৩ জন নেতা ও সাড়ে পাঁচশো দলীয় কর্মী নিয়ে গেরুয়া শিবির ছেড়ে জোড়াফুলে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জয়দেব ঘোষণা করেছেন, এবার দফায় দফায় গোটা জেলার আদি বিজেপি (BJP) কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেবেন। নন্দীগ্রামের সাউদখালি মনসা বাজারের তৃণমূলের (TMC) সভায় জয়দেবদের তৃণমূলে স্বাগত জানান দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
শুধু স্বাগত জানানো নয়, নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা খোকন শিটদের সঙ্গে মঞ্চেই হাত মিলিয়ে দেন তৃণমূল মুখপাত্র। একইসঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দেন, দলের তরফে জেলায় ‘সহযোগিতা’ করতে এসে তিনি যে এভাবেই সমস্ত কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামকে পঞ্চায়েত ভোটেই শুভেন্দু-মুক্ত করার ঘোষণাও করেন তৃণমূল মুখপাত্র। তিনি স্পষ্ট ঘোষণা করেন, ” শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যা কথা বলে বিজেপি কর্মীদের আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু বেশিদিন তা আর সম্ভব না। শুভেন্দুর বালির বাঁধ ভেঙে তৃণমূলে ধাপে ধাপে বহু মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন। নন্দীগ্রামকে শুভেন্দু মুক্ত করব। শহিদদের পবিত্র রক্তের জায়গায় ওঁদের মতো ভণ্ডদের ঠাঁই নেই।”
[আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ হবেই! নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ফের বিস্ফোরক অনন্ত মহারাজ]
বিজেপি ছেড়ে আসা বটকৃষ্ণ দাসের কাকা প্রয়াত হয়েছেন কয়েকদিন আগে। অশৌচ রীতি মেনে চলতে হচ্ছে তাঁকে। এদিনের সভায় তাঁর যোগদানের কথা থাকলেও তিনি আসতে পারেননি। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান পীযূষকান্তি ভূঁইঞা, সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র-সহ জেলা নেতৃত্বের একাধিক নেতা। জয়দেবদের বক্তব্য, সারা নভেম্বর মাস এবং ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বিজেপি শিবিরে বড় ধস নামছে। ইতিমধ্যে বহু নেতা সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। আর তাই কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু, আগে ঘর সামলা,পরে ভাববি বাংলা।”