নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ঠিক যেন ‘পুষ্পা’ (Pushpa: The Rise) সিনেমা কায়দায় পাচারের রমরমা কারবার। পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় মাদক হিসাবে ব্যবহারের জন্য পিকআপ ভ্যানে পাচার হচ্ছিল কাশির সিরাপ। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সিউড়িতে ঢোকার মুখে তিলপাড়া সেতুর কাছে ট্রাক আটকে আলুর বস্তার তলায় উদ্ধার করা হল সিরাপের বোতল।
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, “গাড়ি থেকে ১০০ এমএলের পাঁচ হাজার বোতল সিরাপ উদ্ধার হয়েছে। ধরা পড়েছে চালক।” বাস্তব মাঝে মধ্যে সিনেমাকেও হার মানায়। ঠিক এমনটাই যেন হয়েছে এক্ষেত্রে। শোনা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় মাদক পাচারের কারবার চলছিল। খবর পেয়ে শনিবার সকালে চারটি থানায় পাঁচটি পৃথক পৃথক দল গঠন করে জেলা পুলিশ। সিউড়ি থানার দু’টি, সদাইপুর, দুবরাজপুর ও মহম্মদবাজার থানার একটি করে দল।
[আরও পড়ুন: ‘৪৭ বছর বয়সেও অন্তঃসত্ত্বা?’, পোশাক নিয়ে নেটদুনিয়ায় কটাক্ষের শিকার কাজল]
সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের আশেপাশে সকাল থেকেই ওৎ পেতে ছিল পাঁচটি নজরদারি পুলিশের দল। নির্দিষ্ট কোনও গাড়ির নম্বর সূত্র দিতে না পারলেও আলুর গাড়ির সবিস্তার বর্ণনা ছিল। সেই মতো সিউড়ি থানার পুলিশ তিলপাড়া সেতুর কাছে পিক আপ ভ্যানটিকে আটকায়।
তল্লাশি চালাতেই আলুর বস্তার নিচে ১৭ ব্যাগ ভরতি কাশির সিরাপ পাওয়া যায়। ১০০ এমএলের অন্তত পাঁচ হাজারটি বোতল। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠির কথায়, “শনিবার সকালে সূত্রের খবর পেয়েই চার থানায় পাঁচটা দল গঠন করা হয়। আলুর বস্তার নিচে ফেন্সিডিল জাতীয় ওষুধ ছিল। কিন্তু সঠিকভাবে গাড়িটিকে চিহ্নিত করা যায়নি। যার জন্য মোবাইলে ট্র্যাক করা যায়নি। কিন্তু সূত্র সঠিক খবর দিয়েছিল। পাঁচটি দল যৌথভাবে কাজ করে এই সাফল্য পেয়েছে। ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়েছে। পিকআপ ভ্যানে দু’জন ছিল। একজন সুযোগ বুঝে পালিয়েছে। চালক হাফিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি মালদা জেলার কালিয়াচকে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কোথা থেকে কতদূরে এই মাদক যাচ্ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার হয়ে মাদক বাংলার বাজারে আসছিল।’