সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আগ্রাসী ‘ড্রাগন’। এবার যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করল ৫১টি যুদ্ধবিমান। শুধু তাই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়ে ছ’টি চিনা রণতরীও। পালটা, বেশ কয়েকটি ফাইটার জেট পাঠিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটির সেনাবাহিনী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, সম্প্রতি একটি অত্যাধুনিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে লালফৌজ। তারপর ফের তাইওয়ানের কাছে পেশীশক্তির প্রদর্শনে তুঙ্গে জল্পনা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের (Taiwan) ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়ে চিনের ৫১টি যুদ্ধবিমান। এরমধ্যে ছিল ২৫টি ফাইটার বোম্বার জেট, এইচ-৬ বোমারু বিমান, সুখোই-৩০, ইলেক্ট্রোনিক ওয়ারফেয়ার, সাবমেরিন ধ্বংসী ও ট্যাঙ্কার বিমান। পালটা নিজেদের যুদ্ধবিমান পাঠায় তাইওয়ান। শুধু তাই নয়, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়ে ছ’টি চিনা রণতরীও। একইসঙ্গে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমগুলির উদ্দেশেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয় বলে জানিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষামন্ত্রক। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিনের এহেন আগ্রাসন কি ভবিষ্যতে হামলার ইঙ্গিত? উঠছে এমন প্রশ্নই।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার নাগরিক হতে চান গোতাবায়া রাজাপক্ষে! গ্রিন কার্ডের আবেদন নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে]
এদিকে, একইদিনে সামরিক শক্তির প্রদর্শন করে তাইওয়ান। এদিন ‘স্কাই বো-৩’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রদর্শনী করে দ্বীপরাষ্ট্রটি। পাশাপাশি, বিমান বিধ্বংসী কামান, ও তিয়াংবিং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রদর্শনী করা হয়। বিশ্লেষকদের মতে, ন্যান্সি পেলোসির সফর ‘এক চিন’ নীতিতে বড় ধাক্কা। আর এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাই লালফৌজকে যুদ্ধের জন্য প্রতুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সমর সূত্রের নিয়ম মেনেই তাইওয়ানের সামরিক ঘাঁটি ও সরঞ্জাম চিনের নিশানায় রয়েছে। দেশটির উপর চাপ তৈরি করতে ও হামলার পরিকল্পনা খতিয়ে দেখতেই এহেন অনুপ্রবেশ করছে চিনা যুদ্ধবিমানগুলি।