সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে দেশে-বিদেশে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিরোধীরা তো বটেই, দলের মধ্যে থেকেই উঠছে গদি ছাড়ার আওয়াজ। এহেন পরিস্থিতিতে সূত্রের খবর, ইস্তফা দিতে চলেছেন ট্রুডো। আগামী বুধবার ট্রুডোর দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। তার আগে সোমবারই হয়তো ইস্তফা দিয়ে দেবেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে কানাডার সাধারণ নির্বাচন। সমীক্ষা বলছে, সেখানে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে ট্রুডোর লিবারাল পার্টি। বিপুল ভোটে জয় পেয়ে মসনদে বসতে চলেছে কনজারভেটিভরা, এমনটাই শোনা যাচ্ছে কানাডার রাজনৈতিক মহলে। এমন টালমাটাল অবস্থার জন্য ট্রুডোর দিকেই আঙুল তুলছে দলের একটা বড় অংশ। তার মধ্যে কয়েকদিন আগে ইস্তফা দিয়েছেন ট্রুডো সরকারের অর্থমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। সবমিলিয়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, দলের চাপেই নতিস্বীকার করতে চলেছেন ট্রুডো। আগামী বুধবার লিবারাল পার্টির বিশেষ সম্মেলন রয়েছে। তার আগেই দলীয় প্রধান হিসাবে ইস্তফা দিতে পারেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তবে ট্রুডো এখনই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়বেন, নাকি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঠিক হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন, সেই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফেও কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, ২০১৩ থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো।
জল্পনা ছড়াতেই প্রশ্ন উঠছে, ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? দুরকম সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। প্রথমত, অক্টোবরের পরিবর্তে বছরের প্রথম দিকেই নির্বাচন হতে পারে কানাডায়। আগামী চার বছরের জন্য সরকার গঠিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে কনজারভেটিভরাই ক্ষমতা দখল করবে বলে মত সমীক্ষার। দ্বিতীয়ত, বর্তমান অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ককে অনুরোধ জানানো হবে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য। অবশ্য তিনি যদি নির্বাচনে লড়তে চান তাহলে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। অর্থাৎ ট্রুডো ইস্তফা দিলে কানাডায় বড়সড় রাজনৈতিক সংকট দেখা দেবে।