সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা বৃষ্টির ফলে ক্রমশই ভয়াবহ হচ্ছে অসম ও গোটা উত্তর-পূর্বের বন্যা পরিস্থিতি। অসমের ৩৩টি জেলার মধ্যে জলে ভাসছে ২১টি। ব্রহ্মপুত্রের বিধ্বংসী স্রোতে রাজধানী গুয়াহাটির সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাদের। এখনও পর্যন্ত বন্যার ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লক্ষ বেশি। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে যে ব্রহ্মপুত্র-সহ ১০টি নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে।
[আরও পড়ুন- তুঙ্গে চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রস্তুতি, চাঁদে লাফাতে তৈরি ভারতের ‘ফ্যাট বয়’]
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার ফলে এখনও পর্যন্ত ২৭ হাজার হেক্টর কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হওয়া ৬৮টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি গোটা অসম জুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি পরিষেবাও।
নিম্ন অসমের লখিমপুর, ধেমাজি, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, ডারনিং, বরপেটা, চিরাং, নলবাড়ি, বঙ্গাইগাঁও, গোয়ালপাড়া, মোরিগাঁও ও হোজাই জেলার পরিস্থিতি প্রচণ্ড শোচনীয় হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র বরপেটা জেলাতেই আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ। বেশিরভাগ জায়গায় ধস নেমে রাস্তা ভেঙে পড়েছে। তাই সড়কপথে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে বিভিন্ন জায়গা থেকে অসমে আসা পর্যটকরা পড়েছেন বিপদে। তবে এই অবস্থার মধ্যেই বানভাসি মানুষদের সাহায্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। বন্যাকবলিত এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে তারা।
[আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যপরীক্ষায় ফেল, প্রশাসনের নির্দেশে আপাতত যাতায়াত বন্ধ লক্ষ্মণ ঝুলায়]
পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবার প্রতিটি জেলার ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। বিপর্যস্ত মানুষকে সবরকম সহযোগিতা করতে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষদের পাশাপাশি এনসেফালাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত কর্মীর ছুটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।
The post ভয়াবহ বন্যার জেরে অসমে মৃত ছয়, ক্ষতিগ্রস্ত ১০ লক্ষ মানুষ appeared first on Sangbad Pratidin.