সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঁদরের মাংস খাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজেরাই৷ ভিয়েতনামের ছ’জন যুবকের কীর্তি বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে বহু মানুষের টাইমলাইনে৷ এই কীর্তির জেরে আপাতত শ্রীঘরে ঠাঁই হয়েছে অভিযুক্তদের৷
অভিযুক্ত ওই যুবকেরা প্রত্যেকেই ভিয়েতনামের বাসিন্দা৷ ৩৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি সকলেই৷ পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে একটি বাঁদর কেনে এক যুবক৷ তারপর ওই বাঁদরটির সঙ্গে নিজেদের মোবাইলের ক্যামেরায় একটি করে ছবি তোলে৷ এতেই শেষ নয়৷ এরপর তারা শুরু করে ফেসবুক লাইভ৷ যেখানে বাঁদরটিকে কাটা দেখানো হয়৷ শুধু তাই নয়, মৃত বাঁদরটির মাংসও বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে খায় ছ’জন৷ এই ভিডিওটি দেখে অনেকজন৷ এরপর বিদ্যুতের গতিতে লাইভ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে অনেকের টাইমলাইনে৷ ওই ভিডিও দেখে সমালোচনায় সরব হন নেটিজেনরা৷ পশুপ্রেমীরা ঘটনার নিন্দা করতে শুরু করেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেরাই নিজেদের ঘৃণ্য কাজের উদাহরণ তুলে ধরার পরেও কীভাবে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা নিয়েই শুরু হয় তুমুল চর্চা৷
[অবলা বাঁদরকেও ছাড়ল না! বিকৃতকাম মহিলার কী হল জানেন?]
যদিও নেটিজেন এবং পশুপ্রেমীদের আলাপ আলোচনা থেকে বেশি দিন নিজেদের দূরে রাখতে পারেননি পুলিশ আধিকারিকরা৷ ঘটনা প্রচারের আলোতে আসার কয়েকদিন মধ্যে পুলিশের কানে পৌঁছায় ছ’জন যুবকের কীর্তি৷ এরপর যদিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এতটুকুও দেরি করেননি তদন্তকারীরা৷ ফেসবুক থেকে ওই ছ’জনের ছবি সংগ্রহ করা হয়৷ যুবকদের নাম-ঠিকানাও প্রাথমিকভাবে জোগাড় করা হয়৷ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, ‘‘অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে প্রথমে কিছুটা সময় যায় ঠিকই৷ তবে পুলিশকর্মীদের তৎপরতায় মাসখানেকের মধ্যেই পাকড়াও করা হয় গুণধরদের৷’’ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকরা৷
পশুপ্রেমীদের বক্তব্য, ভিয়েতনামে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে বাঁদররা৷ তারপর ওই ছ’জন যুবকের এহেন কাজ মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়৷ শুধু বাঁদরই নয়, কুকুরের মাংসও যাতে কেউ না খান, সে বিষয়েও স্থানীয়দের অনুরোধ জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা৷
The post বাঁদর মেরে মাংস খেতে খেতে ফেসবুক লাইভ, শ্রীঘরে ৬ যুবক appeared first on Sangbad Pratidin.