সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেক্সিকোয় চরমে পৌঁছেছে বন্দুকবাজদের দৌরাত্ম্য। বন্দুকবাজদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ছয় পুলিশ অফিসার। পরিস্থিতি যে কতটা জটিল তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট। গুরুতর আহত হন আরও চারজন। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।
মেক্সিকোর প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, রবিবার দেশটির উত্তরের নুয়েভ লিওন শহরে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ছয় পুলিশকর্মী। গুলিতে জখম আরও চার। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রায় ১০টি সাঁজোয়া গাড়ির একটি কনভয়ে সওয়ার ছিল হামলাকারীরা। তাদের কাছে মেশিনগানের মতো ভারী অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ফলে পুলিশকর্মীদের উপর ভয়ঙ্কর হামলা চালায় ওই বন্দুকবাজরা। সংখ্যার দিক থেকেও পুলিশকর্মীদের ছাপিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে চিনকে টেক্কা, ষাট হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা G-7 সদস্যদের]
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন মেক্সিকোর (Mexico) প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দেশে চলা হিংসাত্মক কার্যকলাপে লাগাম টানা। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী দেশটি ‘ড্রাগ কার্টেল’ থেকে শুরু করে অস্ত্র পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্য। বর্তমানে সেখানে রাজত্ব করছে সিনালোয়া কার্টেল (মাদকচক্র)। এই হামলার নেপথ্যে তাদেরও হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন মেক্সিকোর টেক্সকালটিটলান শহরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দশজন দুষ্কৃতী নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে ২০টি রাইফেল, হ্যান্ডগান, কার্তুজ, গাড়ি, সামরিক বাহিনীর পোশাক এবং রেডিও উদ্ধার করা হয়। তার আগে, ২০১৯ সালে মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হরিয়েছিলেন ১৪ পুলিশকর্মী। ওই ঘটনার পর দেশজুড়ে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ওব্রাদোর। কিন্তু তাতেও কার্টেলগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।এছাড়া, আইনের হাত এড়াতে আমেরিকায় অপরাধ করে অনেক দুষ্কৃতী সীমান্ত পেরিয়ে মেক্সিকোয় গা ঢাকা দেয়। ফলে দেশটিতে মার্কিন মাফিয়াদেরও একটি বড়সড় প্রভাবশালী চক্রী সক্রিয় রয়েছে।